কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বেড়েছে শশার চাষ

980

কুুমিল্লা (দক্ষিণ), ৪ অক্টোবর, ২০২০, (বাসস): চারদিকে ধানের চারা রোপণ শেষ করেছেন কৃষক। আর ওই ধানের চারা উঁকি দিয়ে রূপ নিচ্ছে সবুজের সমারোহে। তারি মাঝখানে চাষ হচ্ছে শশার । পানির ওপর মাচায় হলুদ-সাদা ফুল কিংবা থরে থরে ঝুলছে শশার । এমনি চিত্র দেখা যায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে। এবার শশার আবাদও ভালো হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলনও হয়েছে ভালো। এতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। শশার বীজ রোপণের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল ধরা শুরু হয়। বিঘাপ্রতি খরচ হয় ১০ হাজার আর বিক্রি হয় ২০ হাজার টাকায়। লাভ বেশি হওয়ায় এ শশার চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই।
পৌর সদরের বাতুপাড়া ও মৌকরা ইউপির গোমকোট গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, শশার পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা। ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী চাঁদপুর ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেকে আসা পাইকারদের কাছে শশা বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অনেক কৃষক। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পাইকারদের কাছে প্রতি মণ শসা ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা বিক্রি করছেন।
এ ব্যাপারে বাতুপাড়া গ্রামের শশা চাষি শাহজাহান বাসসকে বলেন, এ মৌসুমে দুই একর জমিতে শশার আবাদ করেছেন। যা খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। এতে বিক্রি উঠবে হবে ২ লাখ টাকার বেশি। এবার আবহাওয়া ভালো রয়েছে। বাজারে শশার ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। গোমকোট গ্রামের শশা চাষি কামাল হোসেন বাসসকে বলেন, প্রায় দেড় একর জমিতে শশার আবাদ করেন তিনি। প্রথমবার অধিক বৃষ্টির ফলে অনেক গাছ মারা যায়। পরে আবার গাছ লাগাই। এখন ভালো অবস্থায় রয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে শশা বিক্রি শুরু করব। কিন্তু কৃষি অফিসার বা তাদের অফিস থেকে কোনো প্রকার সুযোগ পাইনি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম বাসসকে জানান, এ মৌসুমে পুরো উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে শশার আবাদ করা হয়। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাজারে শশার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। আর কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। যাতে আরো অধিক লাভবান হতে পারে শশা চাষিরা।