নওগাঁয় বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি

301

নওগাঁ, ৩ অক্টোবর,২০২০ (বাসস): জেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। জেলার প্রধান দু’টি নদী আত্রাই ও যমুনা নদীর পানি কমে গেছে। একটি পয়েন্টে এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সব ক’টি পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ উজ জামান খান জানিয়েছেন শনিবার সকাল ৯টায় আত্রাই নদীর পানি মহাদেবপুর উপজেলায় মহাদেবপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫০ সেন্টিমিটার, ধামইরহাট উপজেলার শিমুলতলী পয়েন্টে বিপদসীমার ২২৬ সেন্টিমিটার, মান্দা উপজেলার জোতবাজার পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদীর আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশন পয়েন্টে এখনও বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে নওগাঁয় ছোট যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বর্তমানে বিদসীমার সমান্তরালে প্রবাহিত হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানানো হয়েছে চলতি বন্যায় জেলায় মোট ৬ হাজার ৬শ ১৬ হেক্টর জমির আমন ধান এবং ১১১ হেক্টর জমির শাকসব্জি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল হালিম জানিয়েছেন এ উপজেলার আক্রান্ত তিনটি ইউনিয়নে নতুন করে আক্রান্ত পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। এ পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার পরিবারের প্রায় ২০ হাজার মানুষ তাঁদের গৃহপালিত গবাদি পশু এবং হাঁস মুরগী নিয়ে এখনও বন্যা কবলিত হয়ে কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছেন। বন্যা কবলিত ১ হাজার পরিবারের মধ্যে জেলা প্রশ্সাকের উদ্যোগে চাল, ডাল, তেল লবন, নুডলস ইত্যাদি শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলা প্রশ্সানের অর্থায়নে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বন্যা দুূর্গতদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
আত্রাই উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ সানাউল ইসলাম জানিয়েছেন এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী ১৪ হাজার পরিবারের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে দেড় হাজার পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার হিসেবে চাল, ডাল, তেল, লবন, চিনি, নুডলস ইত্যাািদ শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও বেশ কিছু পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল এবং উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে আরও ২লক্ষ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।