বাসস দেশ-১১ : প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ২৯ লাখ লোক কলেরায় আক্রান্ত হয়

159

বাসস দেশ-১১
আইসিডিডিআর’বি-বিশ্বব্যাপী কলেরা
প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ২৯ লাখ লোক কলেরায় আক্রান্ত হয়
ঢাকা, ২ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ২৯ লাখ লোক কলেরায় আক্রান্ত হয় এবং ৯৫ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে।
আইসিডিডিআরবি’র মহাখালী সদর দপ্তরে আজ এক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘এ রোগটি প্রায়ই সংঘাতের মধ্যে পড়া অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে,যেখানে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অবস্থা সংকটপূর্ণ এবং যেখানে অপুষ্টির ভয়াবহ সমস্যা থাকে। যদি সময় মতো চিকিৎসা না করা হয় তবে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলেরা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।’
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়োজিত প্রতিভাবান ও নিবেদিত কর্মীদের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয় এবং ঢাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় কর্মপালনে আত্মবিশ্বাসী, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও কার্যকরী অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে ২০ জন কর্মীকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা আগমনের শুরুর দিকে আইসিডিডিআরবি, বাংলাদেশ সরকার এবং অন্যান্য সংস্থাসমূহ মিলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরুপন করে। এতে দেখা যায়, কলেরার মহামারী থেকে রক্ষা পেতে আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। প্রায় ১০ লাখ মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়ে, নিরাপদ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য সংকটে বসবাস করছে, যা সংক্রামক রোগ, যেমন কলেরা বিস্তারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআর’বি সরকারকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটিং গ্রুপের কাছে কলেরার মুখে খাওয়ার টিকার জন্য আবেদন করতে সহায়তা করে এবং ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরিসরের কলেরার টিকাদানের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়, এমন টিকাদান কার্যক্রমের জন্য ১৫০ জনের একটি দলকে নিয়োজিত করে। টিকাদান পরবর্তী জরিপে দেখা যায় ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষকে টিকাদান করা গেছে, যা এক বিশাল সাফল্য। এটি সম্ভব হয়েছে চরম প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া আইসিডিডিআর’বির কর্মীবাহিনীর কারণে। কলেরার টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় ধাপ এখন চলছে, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাংলাদেশীদের নিয়ে।
এদিকে ঢাকায় ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পরে। এবছরের মার্চ থেকে মে সময়কালে আইসিডিডিআর’বি-তে ৫৫ হাজার ২২২ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়। যা ২০০৭ সালের পর গড়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী এবং সাধারন ধারণক্ষমতার দ্বিগুনেরও বেশি। আজ আইসিডিডিআর’বি রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এবং ঢাকার ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার মানবিক কাজে নিবেদিত কর্মীদের স্বীকৃতি দেয়।
অনুষ্ঠানে আইসিডিডিআরবি’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জন ডি ক্লেমেন্স, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান বক্তব্য রাখেন ।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৭৩৫/-আসচৌ