বাসস দেশ-২৯ : রাজধানীতে ৫৫ মামলার পলাতক আসামি নাসিম ও তার স্ত্রী গ্রেফতার

133

বাসস দেশ-২৯
র‌্যাব-গ্রেফতার
রাজধানীতে ৫৫ মামলার পলাতক আসামি নাসিম ও তার স্ত্রী গ্রেফতার
ঢাকা, ১ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : রাজধানীর রূপনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাসিম রিয়েল স্টেটের মালিক ও ৫৫ মামলার পলাতক আসামি নাসিম ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো. ইমাম হোসেন নাসিম (৬০) ও তার স্ত্রী হালিমা আক্তার সালমা (৩২)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক ও এডিশনাল ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. রকিবুল সহকারি পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক ও এডিশনাল ডিআইজি মো. ম্জোাম্মেল হক জানান, বুধবার দিবাগত রাতে র‌্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকায় নাসিমের বাসায় ও চিড়িয়াখানা রোডস্থ নাসিম রিয়েল এস্টেটের অফিসে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলি, নগদ ১ লাখ ৩৫ হাজার জাল টাকার নোট, ১ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা, দুই বোতল বিদেশি মদ, ৪ টি ওয়াকিটকি সেট, ৬ টি পাসপোর্ট, ৩৭ টি ব্যাংক চেক বহি এবং ৩২ টি মোবাইল সিম উদ্ধার করে। বিকেলে অভিযান শুরু হয়ে তা রাত ৯টা পর্যন্ত চলে।
তিনি জানান, ইমাম হোসেন নাসিমের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার দৌলতখান থানার মেদুয়া গ্রামে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৩ টি বিয়ে করেন এবং ৪ সন্তানের জনক।
র‌্যাবের এ কর্মকর্তা আরো জানান, নিজেকে নাসিম রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক পরিচয় প্রদান করে সাইনবোর্ড টানিয়ে ও ক্ষেত্রবিশেষে অস্ত্র প্রদর্শন পূর্বক ভয় ভীতি দেখিয়ে সাভারের কাউন্দিয়া এলাকায় অন্যের জমি, খাস জমি দখল করে আবাসিক শহর গড়ে দেয়ার নামে প্রায় ৫ হাজার সাধারণ জনগণের সাথে বায়না করে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং ২৫০ জনকে ভুয়া চুক্তিপত্র করে তাদের কাছ থেকে সাড়ে ১২ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা আদায় করে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।
তিনি জানান, শাহ আলী থানার চিড়িয়াখানা রোডস্থ নাসিম গ্রুপের অফিসে অভিযানকালে তার মালিকানাধীন ১৬ টি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে তিনি প্রতারণা করে আসছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সময়ে নামে-বেনামে ৩২টি সিমকার্ড ব্যবহার করে তিনি সেসব প্রতারণার শিকার মানুষদের ধরা-ছোয়ার বাইরে চলে যেতেন এবং সময়ে সময়ে অস্ত্র প্রদর্শন ও ওয়াকিটকি দেখিয়ে নিজের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতেন। গ্রেফতার এড়াতে আন্ডারগ্রাউন্ডে তার গোপন সুরঙ্গে অবস্থিত ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্বলিত দরজাযুক্ত গোপন অফিসে আত্মগোপন করত। নাসিমের অনুপস্থিতিতে তার তৃতীয় স্ত্রী হালিমা আক্তার প্রতারণার ব্যবসা দেখাশোনা করত।
এডিশনাল ডিআইজি মো. ম্জোাম্মেল হক আরও জানান, দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাসমূহ থেকে স্ত্রীর সহযোগীতায় মাদক দ্রব্য ইয়াবা ও বিদেশি মদ সংগ্রহ করে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার ডিলার ও খুচরা মাদক কারবারীদের নিকট বিক্রয় করে আসছিলেন তারা। এছাড়া তারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জাল নোটের ব্যবসা পরিচালনা করতো।
মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে প্রতারণা সংক্রান্ত অসংখ্য জিডি ও অভিযোগ রয়েছে।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৯০৭/কেজিএ