দেশে আরো ডেনিশ বিনিয়োগের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

996

ঢাকা, ২ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশ এবং ডেনমার্কের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আরো ডেনিশ বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন।
দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ডেনিশ ইন্ডাষ্ট্রি স্থাপনের জন্য জমি বরাদ্দের ও প্রস্তাব করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদায়ী ডেনিশ রাষ্ট্রদূত মিকায়েল হেমনিতি উইনথার্ন আজ প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ডেনিশ রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক শক্তিশালীকরণে ভূমিকা পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরেন এবং বলেন, প্রযুক্তির সফল ব্যবহারই মানুষের উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ’৯৬ সালে তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের সকল অ্যানালগ টেলিফোনকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করে এবং মোবাইল ফোন নিয়ে একচেটিয়া ব্যবসার অবসান ঘটায়।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং ডেনিশ রাষ্ট্রদূত দুর্যোগ ব্যবস্থপনার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতি এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তোলার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের লক্ষে সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য বন্ধু প্রতীম এই দেশটিকে ধন্যবাদ জানান।
দ্’ুদেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে ডেনিশ রাষ্ট্রদূত সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই সম্পর্ক এখন এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এখন উজ্জ্বল হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত, ১০ লাখেরও অধিক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মানবিক সাহায্য প্রদানে ডেনিশ সংকল্পের কথা পুণর্ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত এসময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থলের পরিবেশগত সুরক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বলেন, তিনি বাংলাদেশের সাফল্য লাভের বিষয়ে আশাবাদী।