বাসস দেশ-৩ : বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যে কৃষি, খাদ্য ও জৈব-প্রযুক্তি সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ

120

বাসস দেশ-৩
বংলাদেশ-কানাডা
বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যে কৃষি, খাদ্য ও জৈব-প্রযুক্তি সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ
ঢাকা, ১ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশ ও কানাডার সাসকাচোয়ান প্রদেশের মধ্যে কৃষি, খাদ্য ও জৈব-প্রযুক্তি বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সাসকাচোয়ানের সাস্কাটুন শহরে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা এ বিষয়ে এ মতামত ব্যাক্ত করেন। কানাডার সময় অনুযায়ি গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ হাইকমিশন, সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউসাস্ক) গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফুড সিকিউরিটি এবং এগ্রি-ওয়েস্ট বায়ো ইনক-এর যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মিজানুর রহমান, সাসকাটুন পশ্চিমের সংসদ সদস্য ব্র্যাড রেডিকপ্, সিটি অব সাসকাটুনের মেয়র চার্লি ক্লার্ক কানাডা ও বাংলাদেশের কৃষি-খাদ্য, শিল্প, গবেষণা এবং সরকারী বিভিন্ন সংস্থা থেকে অন্যান্য সদস্যগণ এই সেমিনারে যোগদান করেন।
এ সেমিনারটি দুটি পর্বে বিভক্ত প্রথম পর্বের আলোচনায় বেজা’র র্নিবাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বিডা’র র্নিবাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ সেলিম রায়হান এবং সানেম, বি-এ-আর-সি’র কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান এস-এম বোখতিয়ার বাংলাদেশের প্যানেল সদস্য হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
প্রথম পর্বে হাই কমিশনার বাংলাদেশকে উদীয়মান বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গন্তব্য হিসাবে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বিস্তৃৃত আন্তঃসংযোগ, ক্রমবর্ধমান রপ্তানি, শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা, অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো সম্প্রসারণ এবং দক্ষ কর্মশক্তির বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। কানাডা এবং সাসকাচোয়ানের মধ্যে পারস্পরিক দ্বি-পাক্ষিক সর্ম্পকের জন্য সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন বাংলাদেশ হাই কমিশন এর আগে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সর্ম্পকের জন্য ক্যালগারি, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, টরোনটো, উইন্ডসরসহ কানাডার অন্যান্য শহরে জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে বাংলাদেশের মূল র্অথনৈতিক ক্ষেত্র গুলিকে তুলে ধরা হয়েছিল যার মধ্যে রয়েছে জৈব-প্রযুক্তি, কৃষি উৎপাদন,কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, খামার সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি, ফার্মাসিউটিক্যালস, তথ্য প্রযুক্তি, পুর্ননবীকরণযোগ্য শক্তি এবং সক্ষমতা বিকাশের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অবারিত সুযোগ রয়েছে বলে অন্যান্য বক্তারা মনে করেন।
প্রথম পর্বের আলোচনায় বাংলাদেশের উপরোল্লেখিত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের, বিভাগের ও প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগন বাংলাদেশের ব্যাবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অবারিত সুযোগের বিষয়ে কানাডার ব্যাবসায়ী ও বিনিয়োগকারিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের কথা পুর্নব্যক্ত করেন।
তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের সাথে কানাডার টেকসই খাদ্য সুরক্ষা অংশীদারিত্ব ও বাংলাদেশ, সাসকাচোয়ান এবং কানাডার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সর্ম্পককে আরো উন্নত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সেমিনারে দ্বিতীয় পর্বে অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহন করেন সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ স্টুর্য়াট স্মিথ, সাসকাটুন ওয়েস্টের এমপি ব্র্যাড রেডিকপ্, বোর্ড চেয়ার আল্লানা কোচ, জি-আই-এফ-এস প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন ওয়েবসহ বাংলাদেশ হাই কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তগণ। এ পর্ব পরিচালনা করেন ডাঃ পিটার ফিলিপস। বক্তারা সাসকাচোয়ান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও প্রযুক্তির বহুমুখী সম্ভাবনার উপর জোর দেন। সেমিনারে র্শীষস্থানীয় কানাডিয়ান শিল্পের অনেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং মিডিয়া প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
যৌথ গবেষণা সহযোগিতা ও খাদ্য নিরাপত্তা ব্যাবস্থাকে উন্নত করতে ২০২০ সালে বাংলাদেশ ও জি আই এফ এস এর মধ্যে অব্যাহত যৌথ বহুমুখী গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধারাবাহিক কার্যক্রমের ফলশ্রুতিতে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। কৃষি, খাদ্য ও জৈব-প্রযুক্তি বিষয়ে সাসকাচোয়ানের অর্জিত বিশেষ উন্নত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের কৃষকের আয় বৃদ্ধিকরণ, জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলা, এস ডি জি’র লক্ষ্য অর্জনসহ ক্ষুধামুক্ত ও নারীর ক্ষমতায়নকে জোরদার করাই এই যৌথ সহযোগিতার মূল উদ্দেশ্য।
বাসস/সবি/এমআর/১৩৩০/-আসাচৌ