বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

630

ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
আজ মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, সড়ক হবে সংস্কার’- শ্লোগানকে উপজীব্য করে অনলাইনে “গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ মাস” অক্টোবর-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র অধীন সকল কর্মকান্ড সঠিকভাবে করা হচ্ছে কিনা তা সঠিক তদারকির মাধ্যমে সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্মাণ সামগ্রী, আধুনিক প্রযুক্তি, জবাবদিহীতা ও তদারকি নিশ্চিত করা গেলে তার সুফল পাওয়া যায়। আর এলজিইডি, জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালকরা যদি সঠিকভাবে কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন তাহলে জবাবদিহীতাও বাড়বে।
মন্ত্রী কাজের মান নিয়ন্ত্রণ ও ঠিকাদারদের কথা বিবেচনা করে নির্মাণ ব্যয় প্রাক্কলন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, দক্ষ ও পেশাদার ঠিকাদারদের নিয়োগ দিতে হবে। কারণ কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলেও এখন অনেকেই লাইসেন্স করেন। এতে একদিকে যেমন নি¤œমানের কাজ হয়, অন্যদিকে সেই ঠিকাদারও লোকসানের মুখে পড়ে।
তিনি বলেন, রাস্তা, সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণসহ যে কাজই করা হোক না কেন, তা অবশ্যই মানসম্মত ও টেকসই হতে হবে। গুণগতমানের কাজ করতে গিয়ে কোন ধরণের চাপের কাছে মাথা নত করা যাবে না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (রক্ষণাবেক্ষণ) শেখ মোহাম্মদ মহসিন।
উল্লেখ্য, ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার সড়ক হবে সংস্কার’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে সারাদেশে গ্রামীণ সড়কের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সারাদেশে এলজিইডির আওতাভূক্ত বিভিন্ন শ্রেণীর মোট ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৩ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক রয়েছে।