বাসস ক্রীড়া-১ : পিছিয়ে পড়েও আর্সেনালকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে লিভারপুল

99

বাসস ক্রীড়া-১
ফুটবল-প্রিমিয়ার লিগ
পিছিয়ে পড়েও আর্সেনালকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে লিভারপুল
লন্ডন, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ (বাসস) : আর্সেনালের বিপক্ষে সোমবার প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠ এ্যানফিল্ডে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। রেডসদের হয়ে গোলা করেছেন সাদিও মানে, এন্ডি রবার্টসন ও দিয়োগো জোতা। এই নিয়ে লিগে হ্যাটট্রিক জয় পেল জার্গেন ক্লপ বাহিনী।
এদিকে আর্সেনালসহ শীর্ষ অপর ক্লাবগুলো ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম নতুন মৌসুমের প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যেই পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে। এবারের মৌসুমে অপরাজিত থেকে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে দারুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে লিভারপুল।
রেডস বস বলেছেন, ‘মৌসুমে এখন একেবারেই শুরুর সময় এবং শুরু থেকেই ছেলেরা অসাধারণ খেলছে। প্রতিটি ম্যাচেই আধিপত্য দেখিয়ে জয় নিশ্চিত করছে। তবে কাউন্টার এ্যাটাকের বিষয়টির দিকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা যে ধরনের ফুটবল খেলে থাকি তা একেবারেই ব্যতিক্রম। আজকের রাতে একটিও খারাপ দিক আমি দেখছি না।’
ঐদিও ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল লিভারপুলকে। কিয়েরান টিয়েরনেকে ফাউলের অপরাধে মাত্র তিন মিনিটেই হলুদ কার্ড পান মানে। যদিও ফাউলের ধরন বিবেচনায় লাল কার্ডেও হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন এই সেনেগালিজ তারকা ফরোয়ার্ড।
সাম্প্রতিক সময়ে লিভারপুলের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে জয়ের কৌশলই কাল ধরে রাখতে চেয়েছিল গানার্সরা। বিশেষ করে পিছন থেকে রেডসদের ওপর অনেকটা চাপ প্রয়োগ করে চেপে বসাই ছিল তাদের মূল গেম-প্ল্যান। প্রিমিয়ার লিগে একেবারে শেষ পর্যায়ে আর্সেনালের কাছে পরাজিত হবার আগেই অবশ্য লিগ শিরোপা জয় করেছিল লিভারপুল। এছাড়া আগস্টে কমিউনিটি শিল্ডেও গানার্সদের কাছে পরাজিত হয়ে হয় লিভারপুলকে। কিন্তু এই দুটি ম্যাচের থেকে গতকাল লিভারপুল ছিল একেবারেই ভিন্ন। বিরতির আগে ২৫ মিনিটে আলেক্সান্দ্রে লাকাজেত্তের গোলে এগিয়ে যাওয়াটাও ছিল ¯্রােতের বিপরীতে হঠাৎ করেই আর্সেনালের এগিয়ে যাওয়া। এই একটি ঘটনা ছাড়া পুরো ম্যাচে আর্সেনাল কোনভাবেই লিভারপুলের ওপর আধিপত্য দেখাতে পারেনি। এইন্সলে মেইটল্যান্ড-নাইলসের ক্রসে রবার্টসনের ভুলে লাকাজেত্তে বল পেয়ে যান। যদিও লাকাজেত্তেও বলটি ঠিকমত নিয়ন্ত্রনে নিতে পারেননি। কিন্তু বলটি মাটিতে বাউন্স করে এ্যালিসন বেকারের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়ালে এগিয়ে যায় মিকেল আর্তেতার দল। কিন্তু বেশীক্ষন এই লিড ধরে রাখতে পারেনি রেডসরা। তিন মিনিট পর মোহাম্মদ সালাহর শাট আটকাতে গিয়ে আর্সেনালের গোলরক্ষক বার্নাড লেনো পরাস্ত হলে খালি জালে বল জড়িয়ে সমতা ফেরান মানে। ৩৪ মিনিটে আলেক্সান্দার-আর্নল্ডের ক্রস থেকে স্কটিশ অধিনায়ক রবার্টসন লিভারপুলকে এগিয়ে দেন।
২০১৮ ও ২০১৯ সাল এ্যানফিল্ডে আর্সেনাল ৪-০ ও ৫-১ গোল বিধ্বস্ত হয়েছিল। তবে এফএ কাপ জয়ের পর মিকেল আর্তেতার দলের ওপর আস্থা ফিরে পান। প্রিমিয়ার লিগে এনিয়ে ঘরের মাঠে ৬১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়লো লিভারপুল।
বিরতির পর সফরকারীরা কিছুটা আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় ডানি সেবালোসের বাড়ানো বল থেকে ফরাসি স্ট্রাইকার লাকাজেত্তে এ্যালিসনকে পরাস্ত করতে পারেননি। আর্তেতা বলেছেন, ‘এ্যানফিল্ডে খেলতে আসলে একটি কথা মনে রাখতে হবে কোন দলই ১০টি সুযোগ পাবেনা। গোলরক্ষককে একা পেয়ে তোমাকে অবশ্যই গোল আদায় করে নিতে হবে। বিশে^র যেকোন স্টেডিয়ামের তুলনায় এটি খুবই কঠিন একটি জায়গা। এখানে প্রতিটি সুযোগ কাজে না লাগালে ম্যাচ ধরে রাখা কঠিন। তারা একসাথে পাঁচ বছর ধরে আছে, অথচ আমরা মাত্র কয়েকমাস একসাথে আছি। এখানেই মূলত পার্থক্যটা তৈরী হয়েছে।’
ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে ক্লপ জোতাকে লিগে অভিষিক্ত হবার সুযোগ করে দেন। আর সাথে সাথে পর্তুগীজ এই এ্যটাকার প্রমান দিয়েছেন কেন তাকে লিভারপুল ৪১ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে উল্ফস থেকে দলে ভিড়িয়েছে। ৮৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক ভলিতে জোতা লিভারপুলকে তৃতীয় গোলটি উপহার দেন।
বাসস/নীহা/১৫৩০/স্বব