বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গকৃত নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা শেষ হয়েছে

487

ঢাকা ,২৮ সেপ্টেম্বর , ২০২০ (বাসস) : পৃথিবীর ৩০টি দেশের কবি-লেখক-সাহিত্যিক-শিল্পীদের অংশগ্রহণে এবং বিদেশে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গকৃত ১০দিনব্যাপী নিউইয়র্ক প্রথম বাংলা ভার্চুয়াল বইমেলার সমাপ্ত হয়েছে।
কোভিড ১৯ এর ফলে সারা পৃথিবী যখন দিশাহীন, মানুষের প্রাত্যহিক জীবন যাপন যখন ব্যাহত। তখন মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ভার্চুয়ালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন করে। ১৮ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক আব্দুর গাফফার চৌধুরী, প্রবীণ রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লা আবু সায়ীদ, কবি নির্মলেন্দু গুণ, সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মণি এমপি, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এমপি, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি , কবি কামাল চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন ,সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ এবং সাহিত্যিক সাংবাদিক আনিসুল হকসহ বরেণ্য ব্যক্তিরা বইমেলার ১০দিন বিভিন্ন পর্বে অংশ গ্রহণ করেন।
বইমেলার শেষ দিন ২৯তম নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলায় মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য সম্মাননা প্রদান করা হয় কথাসাহিত্যক সেলিনা হোসেনকে। এ ছাড়া এবছর থেকে শুরু হওয়া কবি শহীদ কাদরী স্মৃতি সম্মাননা বছরের সেরা বই পুরস্কার পেয়েছেন যৌথভাবে গান আর গানের মানুষ বইয়ের জন্য গীতিকার-সাংবাদিক-লেখক জীবন চৌধুরী ও স্বলপ কথার মানুষ গ্রন্থের জন্য লেখক ড. সেলিম জাহান।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্তঅনুযায়ী ২৭ সেপ্টেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের বইমেলার আহ্বায়ক ডাঃ জিয়াউদ্দীন আহেমেদ ২০২১ সালের আহ্বায়ক ডঃ নূরন নবীর নাম ঘোষণা করেন।
নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলার বিশেষত্ব ছিল ভার্চুয়ালি সারা পৃথিবী থেকে বাংলা বই ক্রয় করার সুযোগ পেয়েছে। এই মেলা উপলক্ষে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে ২১টি স্টল ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৪টি স্টল যোগ দেয়। বাংলাদেশের স্টলগুলোর মধ্যে ছিল অঙ্গুর, অনন্যা, অন্বয় প্রকাশ, আহমদ পাবশিশিং, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ, কথাপ্রকাশ, তাম্রলিপি, ধ্রুবপদ, নালন্দা, পুথি নিলয়, পেন্সিল পাবলিকেশন্স, প্রথমা প্রকাশন, বাতিঘর, বাংলা একাডেমী, বাংলা প্রকাশ, বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্র, বেঙ্গল পাবলিকেশন্স, মাওলা ব্রাদার্স, মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক, সময় প্রকাশন ও স্টুডেন্ট ওয়েজ। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যোগ দেয় আনন্দ পাবলিশার্স, দেজ, পত্র ভারতী ও সাহিত্যম।
লেখক-পাঠক ও প্রকাশনা সংস্থারগুলোর অনুরোধে নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলার বই বিক্রয়ের সময় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।