বাসস দেশ-২৫ : বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু আর অর্থনৈতিক মুক্তির স্থপতি শেখ হাসিনা : কে এম খালিদ

109

বাসস দেশ-২৫
স্থপতি-শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু আর অর্থনৈতিক মুক্তির স্থপতি শেখ হাসিনা : কে এম খালিদ
ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু আর এর অর্থনৈতিক মুক্তির স্থপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র বিশ্বের বুকে আত্মপ্রকাশ করে। আর তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি সাধিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আজ স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ।’
প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘লেখক শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কে এম খালিদ বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, বেকারত্ব হ্রাস, কৃষিতে সফলতা, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণসহ অবকাঠামো উন্নয়নে বিপ্লব ঘটেছে। স্থল সীমানা চুক্তির বাস্তবায়ন, পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, গরিব শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ, সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি ও জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের এক নম্বর স্থান অর্জন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন, আন্তর্জাতিক আদালতে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে আরেক বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন তিনি। রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ঘোষণা এবং তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন করে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। সেজন্য স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনো তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইতোমধ্যে ১৯ বার তাঁকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। সেজন্য আমাদেরকে আরো সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। আমরা সংযত না হলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠতে পারে।
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে ‘শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থপাঠ কেনো অপরিহার্য’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বাংলা একাডেমি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী (২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৭৪২/এএএ