জনগণের জীবনমান উন্নয়নে পর্যটন সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে : পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

565

ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, গ্রামীণ জনগণের জীবনমান উন্নয়নে নেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপ পর্যটনের উন্নয়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
তিনি আজ অনলাইনে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। “গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন” প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা বিশ্বে আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হচ্ছে।
মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রাম উন্নয়নে ইতোমধ্যে অনেকগুলো যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর মাধ্যমে গ্রামের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের জন্যই এখন গ্রামে শহরের সকল নাগরিক সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে। প্রতিটি গ্রামে এখন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, এলপি গ্যাস ও উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষের আর্থিক সক্ষমতার উন্নয়নের জন্য গ্রামীণ নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে। গ্রামীণ পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য এই সুবিধাগুলো আরো সম্প্রসারিত করা সম্ভব হবে।
মাহবুব আলী বলেন, গ্রামীণ পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে গ্রামীণ পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রামীণ পর্যটনের উন্নয়নে কমিউনিটি বেইজড পর্যটন প্রসারের জন্য কাজ চলছে।
তিনি বলেন, গ্রামের প্রান্তিক জনগণকে পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং পর্যটনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে তাদের ভূমিকা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।
মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন পণ্যের বৈচিত্র্যতা ও সম্ভাবনা অনেক। সৌন্দর্যের আধার গ্রাম অঞ্চলেই পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের এই সৌন্দর্যকে পৃথিবীর কাছে তুলে ধরতেই ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড গঠন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবতায় রূপ দেয়ার এখন সময় এসেছে। আমাদের পর্যটন পণ্যগুলো উপযুক্ত ব্র্যাান্ডিং করে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘ সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে পর্যটন যাতে সহায়ক শক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র, আ, ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ও টোয়াবের সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান।