বাসস দেশ-৩০ : বঙ্গবন্ধু ও বিদ্যাসাগরের মধ্যে বেশ কিছু মানবিক গুণাবলির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায় : কে এম খালিদ

188

বাসস দেশ-৩০
বিদ্যাসাগর- জন্মবার্ষিকী
বঙ্গবন্ধু ও বিদ্যাসাগরের মধ্যে বেশ কিছু মানবিক গুণাবলির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায় : কে এম খালিদ
ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০(বাসস): সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, দুইশত বছর আগে জন্ম গ্রহণ করা ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (বিদ্যাসাগর) এবং ঠিক তাঁর একশত বছর পরে জন্ম নেয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাঝে বেশ কিছু মানবিক গুণাবলির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
আজ শনিবার বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলা গদ্যের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
কে এম খালিদ বলেন, ‘তাঁরা দু’জনেই ছিলেন দৃপ্তময়, দৃঢ়চেতা, আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মসম্মান ও বলিষ্ঠতায় সমুজ্জ্বল বাঙালি। শেখ মুজিবুর রহমান পরিচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু’ এবং ‘জাতির পিতা’ উপাধিতে। অন্যদিকে ঈশ্বরচন্দ্র পরিচিত হয়েছেন ‘করুণাসাগর’ এবং সংস্কৃত কলেজ প্রদত্ত ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধিতে। উভয়েরই জীবনদর্শন ছিল সত্যের জন্য সংগ্রাম, মুক্তির জন্য সংগ্রাম, জীবনের জন্য সংগ্রাম।
তিনি বলেন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন অবিস্মরণীয় প্রতিভার অধিকারী। ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পান্ডিত্যের জন্য তিনি প্রথম জীবনেই বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারকও। নারী শিক্ষা ও বিধবা বিবাহ প্রচলন এবং বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তাঁর অবদান বাঙালি জাতি চিরকাল স্মরণে রাখবে। তাঁর প্রবল মাতৃভক্তি ও বজ্র কঠিন চরিত্রবল বাংলায় প্রবাদপ্রতিম।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে ‘একুশ শতকের বাঙালি হৃদয়ে বিদ্যাসাগর’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মহুয়া মুখোপাধ্যায়।
মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিত ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি।
বাসস/সবি/বিকেডি/২০৪৭/স্বব