বাসস দেশ-২০ : কোভিড মহামারীতেও তামাক নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের অভিযোগ

137

বাসস দেশ-২০
তামাক- আইন
কোভিড মহামারীতেও তামাক নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের অভিযোগ
ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চলমান কোভিড-১৯ মহামারীতে ব্যবসা অব্যাহত রাখতে তামাক কোম্পানিগুলো সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি (সিএসআর), লবিং, অনুদান ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারসহ বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো।
ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর সহযোগিতায় আজ অনুষ্ঠিত ‘কোভিড-১৯ ও তামাক কোম্পানি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রজ্ঞা’র পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার এ বিষয়ে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান- প্রজ্ঞা’র পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাককে করোনা সংক্রমণ সহায়কপণ্য হিসেবে চিহ্নিত করলেও দুইটি বহুজাতিক তামাক কোম্পানি করোনা মহামারীর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে সিগারেট উৎপাদন, বিপণন ও তামাক পাতা ক্রয় অব্যাহত রাখার জন্য অনুমতিপত্র আদায় করে নিতে সক্ষম হয়েছে।এছাড়াও সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির নামে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান, ব্রান্ড ইমেজ প্রচারের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেইজে লাইভ টকশো এ অংশগ্রহণ, করোনায় ধূমপায়ীদের ক্ষতি কম এজাতীয় ভ্রান্ত তথ্য প্রচার ইত্যাদি কোম্পানিগুলো অব্যাহত রেখেছে বলে বলা হয়।
ওয়েবিনারে অংশ নেয়া তামাকবিরোধী সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ জানান, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার সুযোগ থাকায় নীতিপ্রণেতাদের সাথে অপ্রয়োজনীয় যোগাযোগ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তামাক কোম্পানিগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক নীতি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে থাকে।
অবিলম্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে তামাক কোম্পানির সকল সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি এবং একইসাথে ওয়েবিনারে ই-সিগারেটসহ সকল ভ্যাপিং এবং হিটেড তামাকপণ্যের উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধের আহবান জানানো হয়।
এছাড়া সিগারেটের মতো বিষাক্তপণ্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় থাকাকে প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের পরিপন্থী বলে উরেøখ করেন বক্তারা। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ১৯৫৬ সালের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে তামাকপণ্যকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানান।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর বাংলাদেশ কান্ট্রি এডভাইজার মো. শফিকুল ইসলাম, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর মুখ্য পরামর্শক ড. মো. শরিফুল আলম, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) এর সাবেক সমন্বয়কারী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর সাবেক অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ রূহুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং আর্ক ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক ড. রুমানা হক, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর ইপিডেমিওলজি এন্ড রিসার্চ বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের, ঢাকা আহছানিয়া মিশন এর হেলথ ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ,প্রমুখ।
বাসস/কেসি/১৭৫৫/কেকে