বাসস ক্রীড়া-৫ : লিস্টার সিটির বিপক্ষে মাত্র ১৩জন সিনিয়র খেলোয়াড়কে পাচ্ছেন গার্দিওলা

বাসস ক্রীড়া-৫
ফুটবল-প্রিমিয়ার লিগ
লিস্টার সিটির বিপক্ষে মাত্র ১৩জন সিনিয়র খেলোয়াড়কে পাচ্ছেন গার্দিওলা
লন্ডন, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ (বাসস) : রোববার লিস্টার সিটির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচে মাত্র ১৩জন সিনিয়র খেলোয়াড়কে দলে পাচ্ছেন বলে দাবী করেছেন ম্যানচেস্টার সিটি বস পেপ গার্দিওলা।
সার্জিও আগুয়েরো, বার্নার্ডো সিলভা, হুয়াও ক্যান্সেলো এবং ওলেকসান্দার জিনচেনকো ইনজুরির কারনে দলের বাইরে রয়েছেন, ইকে গুনডোগান করোনায় আক্রান্ত এবং অমারিক লাপোর্তের করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় প্রাক-মৌসুমে কোন অনুশীলনই করতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার বোর্নমাউথের বিপক্ষে লিগ কাপে ২-১ গোলের জয়ে গার্দিওলাকে তরুনদের ওপরই নির্ভর করতে হয়েছিল। কালকের ম্যাচেও আবারো ক্লাবের একাডেমী দলটিকেই ডাকার ইঙ্গিত দিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের যা পরিস্থিতি তাতে মূল দলের মাত্র ১৩জন খেলোয়াড় আমার হাতে রয়েছে। এজন্য একডেমী এখন একমাত্র ভরসা। শুধুমাত্র অনুশীলনের জন্য নয়, ম্যাচের জন্যও তাদের প্রয়োজন হচ্ছে।
একজন তরুণের ওপর অবশ্য গার্দিওলার চোখ পড়েছে। ১৭ বছর বয়সী স্ট্রাইকার লিয়াম ডিলাপ সাবেক স্টোক মিডফিল্ডার ররির ছেলে। লিগ কাপে তার গোলেই ১৮ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল সিটিজেনরা।
হাঁটুর অস্ত্রোপচারের কারনে আরো দুই মাস হয়ত আগুয়েরোকে বিশ্রামে থাকতে হবে। এই সুযোগে আগামী ম্যাচগুলোতে এই তরুনের সামনে সুযোগ এসেছে নিজেকে প্রমানের।
গার্দিওলা বলেন, ‘কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না অতীতে এই একইভাবে মাত্র ১৭ বছর বয়সে আমরা ফিল ফোডেনকে দলে নিয়েছিলাম। ডিলাপের এখনও নিজেকে অনেক জায়গায় উন্নতি করতে হবে। এই তরুনদের আরো সময় দিতে হবে। ’
এখন ফোডেনের বয়স ২০ বছর এবং সে এখন মূল দলের নিয়মিত খেলোয়াড়। করোনভাইরাস শেষে ইংলিশ ফুটবল পুনরায় মাঠে গড়ানোর পর সেই হয়ে উঠেছে সিটির মধ্যমাঠের মূল ভরসা। অথচ ক্যারিয়ারের শুরুতে এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন গার্দিওলা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ফোডেন তার প্রতিভার প্রমান দিয়ে নিজেকে মূল দলে জায়গা করে দিয়েছেন। গার্দিওলা বলেন, ‘আমরা একাডেমীকে অভিনন্দন জানাতে চাই। ক্লাবের অনেকেই এখানে পরিশ্রম করে যাচ্ছে এবং এখান থেকে সাফল্য তুলে আনছে। এ কারনেই একটি ক্লাবের একাডেমী প্রয়োজন। যখন প্রয়োজন এখান থেকে যেন খেলোয়াড়দের ব্যবহার করা যায়।’
বাসস/নীহা/১৪১০/স্বব