বাজিস-৭ : পিরোজপুরের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো এখন স্বাস্থ্য সেবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান

109

বাজিস-৭
পিরোজপুর- কমিউনিটি ক্লিনিক
পিরোজপুরের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো এখন স্বাস্থ্য সেবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান
পিরোজপুর, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস): জেলার পল্লী অঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে পল্লী এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব ক্লিনিকের দু’একটিতে এখন গর্ভবতী মা-দের স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করানো হচ্ছে সযতেœ।
চালতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত জেলার ৭ উপজেলার ৫২ টি ইউনিয়নের ১শত ৬৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৬শত ৪৫ জন রোগী চিকিৎসা ও ওষুধ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা হচ্ছে ৪ লাখ ২ হাজার ৮৯৮ জন। একই সময় ২ লাখ ২২ হাজার ৩৭৭ জন পুরুষ এবং ২৩ হাজার ৩ শত ৭০ জন শিশুও চিকিৎসা এবং ওষুধ নিয়েছে। পিরোজপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে উল্লেখিত সময় ১২ হাজার ৯৯৫ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের জন্য পিরোজপুর, বরিশাল, খুলনা এবং ঢাকার সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জেলার ১ শত ৬৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে বর্তমান সরকার ইতিমধ্যেই ১ শত ৬৬ টি ক্লিনিক চালু করেছে এবং ৩ টির নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে এবং অচিরেই এ তিনটি চালুর প্রস্তুতি চলছে। চালু কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে সদরে ১৭টি, নাজিরপুরে ২৮টি, নেছারাবাদে ৩১টি, কাউখালীতে ১৬টি, ভান্ডারিয়া ২৩টি, মঠবাড়িয়ায় ৪২টি এবং ইন্দুরকানীতে ১২টি রয়েছে।
পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাসনাত ইউসুফ জাকী বাসসকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পল্লী এলাকার নারী-পুরুষ-শিশুর স্বাস্থ্য সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর এক যুগান্তকারী পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করে। ২০০১ পরবর্তী সরকার এর নির্দেশে পিরোজপুরসহ সারাদেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করা হয়। ২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পর্যায়ক্রমে বন্ধ হওয়া ক্লিনিক চালুর পাশাপাশি নতুন ক্লিনিক ভবণ নির্মাণ করছে। জ্বর, আমাশয়, গ্যাষ্ট্রিক, কাশী, ডায়রিয়া, জন্মনিয়ন্ত্রনের ওষুধ, ডায়রিয়া, বদ হজমসহ ৩৩ ধরনের রোগের ওষুধ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া পিরোজপুরের কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে নিরাপদে সন্তান প্রসব করানো হচ্ছে। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েক জন নারী-পুরুষ এ প্রতিবেদককে জানান বাড়ি থেকে অনতি দূরে এসব ক্লিনিক চালু হওয়ায় তাদের অর্থ ও কষ্ট দুটোই লাঘব হচ্ছে এবং তারা উপকৃত হচ্ছে। পিরোজপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো. চান মিয়া মাঝি জানান, তার ইউনিয়নের ক্লিনিকগুলোতে নিয়মিত যতœসহকারে আগত রোগীদের চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হয়। এসব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তিনি আরো জানান করোনাকালে যানবাহন বন্ধ থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগী শহরে যেতে না পারলেও বাড়ির কাছের কমিউনিটি ক্লিনিকে এসে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১২৪৫/-নূসী