বাজিস-১ : কুমিল্লায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে চাল বিতরণ

133

বাজিস-১
কুমিল্লা-চাল বিতরণ
কুমিল্লায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে চাল বিতরণ
কুুমিল্লা (দক্ষিণ), ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস): সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় কার্ড ভোগীদের মাঝে কুমিল্লায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে চাল বিতরণ শুরু করছেন উপজেলা প্রশাসন। জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ‘ওএমএস দেবীদ্বার’ ওয়েবসাইট www.omsdebidwar.gov.bd এ ওয়েবসাইটে উপকারভোগীর নাম, ঠিকানা, ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, আঙুলের ছাপসহ ১৩ ধরনের তথ্য রয়েছে। এতে উপকারভোগীকে আসল-নকল যাচাই করে চাল দেওয়া হয়। একই ব্যক্তি যেন একাধিকবার চাল উত্তোলন করতে না পারেন, সেটি দেখা হয়।
ওয়েবসাইটে প্রত্যেক উপকারভোগীর তথ্যের বিপরীতে যুক্ত করা হয়েছে তার আঙুলের ছাপ। উপকারভোগী তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর, ডিজিটাল আইডি নম্বর দিয়ে ব্যবস্থাটিতে (সিস্টেম) প্রবেশ করামাত্রই তাঁর ছবিসহ যাবতীয় তথ্য প্রদর্শিত হয়। সবার ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। যেকোনো একটি আঙুলের ছাপ দিলে তা মিললে চাল উত্তোলন সম্পন্ন হয়েছে এমন ধন্যবাদ বার্তা দেখাবে। চাল বিতরণে এসব অনিয়ম রুখতে জেলার দেবীদ্বারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান এ ডিজিটাল পদ্ধতিতে চাল বিতরণের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
আজ শনিবার সকাল ৯টায় দেবীদ্বারর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান বাসসকে বলেন, অনেকের নামে কার্ড করা হয়েছে, তাঁরা জানেন না। অথচ তাদের নামে বছরের পর বছর চাল তোলা হচ্ছে। ক্রমাগতভাবে যখন অভিযোগগুলো আসছিল, তখন ভাবলাম ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ব্যবস্থা দাঁড় করার। শুধু তাই নয়, উপকারভোগীর চাল উত্তোলনের তথ্য কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার বা সার্ভারেও জমা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কারা চাল উত্তোলন করেছেন, কারা করেননি, তার তথ্য জানতে পারেন। ফলে ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকে না। সরকার প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে এক দফা খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণ করে।
কুমিল্লার দেবীদ্বারে এ প্রথমবারের মতো বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (আঙুলের ছাপ দিয়ে) ওএমএসের চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে একজনের কার্ডের চাল আরেকজন নিতে পারবে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রাকিব বলেন, ব্যবস্থাটি তৈরির জন্য ডিলার ও উপকারভোগীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পুরো উপজেলার সবাইকে এর আওতায় আনা হবে। ওয়েবসাইট আরও হালনাগাদ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বাসসকে বলেন, ওএমএসের চাল বিতরণে অনিয়ম ঠেকাতে এটি একটি কার্যকর পদ্ধতি। একই পদ্ধতিতে সরকারের অন্যান্য সেবাও দেয়ার চেষ্টা করছি।
বাসস/সংবাদদাতা/১০১০/-নূসী