বাসস দেশ-২৮ : ঢাবি শিক্ষার্থী রেইপ কেসে সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত

94

বাসস দেশ-২৮
রেইপ কেস-সাক্ষ্য
ঢাবি শিক্ষার্থী রেইপ কেসে সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে সম্ভ্রমহানি ঘটনায় করা মামলায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।
আদালতে আজ একজন সাংবাদিকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে ২১ জনের মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ দিন ধার্য করেন।
এদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন এক সাংবাদিক। এরপর তাকে জেরা করেন মজনুর আইনজীবী রবিউল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দেন । সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এরপর এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে সম্ভ্রমহানির পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। এর একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ওই ছাত্রী রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন । পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
পরের দিন সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)। এরআগে ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। গ্রেফতারের পরের দিন মজনুকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
১৬ জানুয়ারি ঘটনার দায় স্বীকার করে মজনু ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দালিখ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর।
২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার ভার্চুয়াল আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বর্তমানে মজনু কারাগারে আছেন।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৭১৪/এএএ