বাসস ক্রীড়া-১১ : টেস্টেও স্বপ্নে বিভোর সাইফউদ্দিন

177

বাসস ক্রীড়া-১১
ক্রিকেট-সাইফউদ্দিন
টেস্টেও স্বপ্নে বিভোর সাইফউদ্দিন
ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ২০১৬ সালে নিজ মাঠে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ব্যটে-বল হাতে পারফরমেন্স দিয়ে সকলের নজর কেড়েছিলেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাই ২০১৭ সালেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। শ্রীলংকার মাটিতে টি-২০ সিরিজ খেলতে নামেন সাইফউদ্দিন। একই বছর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে অভিষেকও ঘটে তার। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
এখন অবধি ২২টি ওয়ানডে, ১৫টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু এখনো টেস্ট খেলার স্বাদ নিতে পারেননি তিনি। তবে টেস্ট খেলার স্বপ্নে বিভোর সাইফউদ্দিন। আসন্ন শ্রীলংকা সফরের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৭ জনের দলে আছেন সাইফউদ্দিন।
তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের সদস্য হয়ে শ্রীলংকা যাওয়া হবে কি-না, তা এখনো জানেন না সাউফউদ্দিন। তবে টেস্ট খেলার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। সেই লক্ষ্যে নিজেকে তৈরি করছেন এই অলরাউন্ডার।
আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলা, আমিও ব্যতিক্রম নই। চেষ্টা থাকবে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করা। আমার এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য নিজেকে ফিট করে তোলা। স্কিল উন্নতি করা। এজন্য কঠোর পরিশ্রম করছি।’
টেস্ট স্কোয়াডে ও দীর্ঘদিন পর মিরপুরে ফিরতে পেরে খুশী সাইফউদ্দিন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ৬-৭ মাস পর দলের সাথে মিরপুরের মাঠে ফিরতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। প্রথমবারের মত সেন্টার উইকেটে বল করতে পেরে, আরও ভালো লাগছে। আমি যেহেতু প্রথমবারের মত টেস্ট দলে ডাক পেয়েছি, তাতেও খুবই আনন্দিত আমি। চেষ্টা করবো নিজের সেরাটা দেওয়ার এবং যতটুকু পারি শেখার।’
নিজের পারফরম্যান্সকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মানে উন্নতি ঘটাতে ঘাম ঝড়াচ্ছেন বলে জানান সাইফউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে প্রায় ৬-৭ মাস আমি বোলিং, ব্যাটিং করতে পারিনি। তবে নিজেকে তৈরি করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। শ্রীলংকায় গেলে যে সময়টা পাবো, সে সময়ের মধ্যে নিজেকে তৈরি করতে পারবো বলে আশাবাদি।’
করোনার সময় নিজ জেলা ফেনীতেই ছিলেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু সেখানে অনুশীলন করতে পারেননি তিনি। সাইফউদ্দিন বলেন, ‘করোনার সময়টা আমার জন্য কঠিন ছিল। যেহেতু আমি নিজ জেলা ফেনীতে ছিলাম। ফিটনেসের কাজ করতে পেরেছি, কিন্তু স্কিল নিয়ে পারিনি। তাই অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। পাকা উইকেটে ব্যাটিং করেছি। বোলিং করতে পারিনি। আজকে ব্যাটিং-বোলিং করেছি। ছন্দ পেতে আরও সময় লাগবে। কিছুটা অস্বস্তি লাগছে। তারপরও আমি আশাবাদী, আরও কিছুদিন বোলিং করতে পারলে হয়তো বা আগের রূপে ফিরে আসতে পারবো।’
বাসস/এএমটি/১৯৫৫/স্বব