বাসস দেশ-৩১ (লীড) : দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ৩৭ জন, সুস্থ ২,১৬৩

103

বাসস দেশ-৩১ (লীড)
করোনা-আপডেট
দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ৩৭ জন, সুস্থ ২,১৬৩
ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ২০০তম দিনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৬৩ জন।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকালের চেয়ে আজ ৯ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ২৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৪৪ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গতকাল মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৪২ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ মৃত্যুও হার দশমিক ০১ শতাংশ বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ১৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৬৬৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ১০৯ জন বেশি শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল ১৪ হাজার ১৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৫৫৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৭৮ শতাংশ বেশি।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৮ লাখ ৬২ হাজার ৬৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৮৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৯ দশমিক ০৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৬৩ জন। গতকালের চেয়ে ৯০ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৩ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৭৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৯৭৭ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ২৪৪ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ২৬৭টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১০২টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ১৫০ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৪ হাজার ১৬৪ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১৪টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২০৭৭ দশমিক ৬৯ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ১৫৪৪ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ২৯ দশমিক ৬২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩৭ জনের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন, আর নারী ১৩ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ হাজার ৯১৪ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ১৩০ জন; শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, আর নারী ২২ দশমিক ৪০ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ৩৫ জন হাসপাতালে এবং বাসায় ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৯ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৪ জন; যা দশমিক ৪৮ শতংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৪২ জন; যা দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১১৭ জন; যা ২ দশমিক ৩২ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৯৩ জন; যা ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৬৫১ জন; যা ১২ দশমিক ৯১ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৩৭১ জন; যা ২৭ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ২ হাজার ৫৪৬ জন; যা ৫০ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে ৫ জন করে, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ১ জন করে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২ হাজার ৪৯০ জন; যা ৪৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৪৪ জন; যা ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৩৩৪ জন; যা ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৪২৫ জন; যা ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ১৮৬ জন; যা ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২২৩ জন; যা ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ২৩৫ জন; যা ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০৭ জন; যা ২ দশমিক ১২ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৫ হাজার ৪৫০টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৮৯ জন ও শয্যা খালি আছে ৩ হাজার ৬৬১টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ২৯২টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ১৮৮ জন ও শয্যা খালি আছে ১০৪টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭৮২টি, ভর্তিকৃত রোগী ১৫৮ জন ও শয্যা খালি আছে ৬২৪টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩৯টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৮ জন ও শয্যা খালি আছে ২১টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭ হাজার ৩৮৬টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৮৯৭ জন ও শয্যা খালি আছে ৬ হাজার ৪৮৯টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২০১টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৮৪ জন ও শয্যা খালি আছে ১১৭টি । সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৩ হাজার ৬১৮টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৮৪৪ জন এবং শয্যা খালি আছে ১০ হাজার ৭৭৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৩২টি, রোগী ভর্তি আছে ২৯০ জন এবং খালি আছে ২৪২টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১২ হাজার ৮৬৭টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৫১৯টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৩৪১টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ২ হাজার ১৬৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১ হাজার ৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৫৪ জন, রংপুর বিভাগে ২৯ জন, খুলনা বিভাগে ২৬৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৭৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৮৭ জন, সিলেট বিভাগে ৩৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ২৬২ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৪১১ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৮১৬ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৬৩ হাজার ৬৩৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৬ হাজার ১৮১ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯৩ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ২৫৮ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৮৫ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৪৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৬ হাজার ৫৫৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৬৫টি, ৩৩৩ এই নম্বরে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ২৭৬টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১৭৯টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৫৫ হাজার ২০ টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৯ লাখ ১৩ হাজার ৫২৩টি।
করোনাভাইরাস চিকিৎসা বিষয়ে ১৬ হাজার ৪৯৮ জন চিকিৎসক অনলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ৪ হাজার ২১৭ জন স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইইডিসিয়ার’র হটলাইনগুলোতে স্বেচ্ছাভিত্তিতে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা জনগণকে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া ২৪ ঘন্টায় কোভিড বিষয়ক টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন ৪ হাজার ৪৮২ জন। এ পর্যন্ত শুধু কোভিড বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেছেন ৩ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৩ জন। প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক ও ১০ জন স্বাস্থ্য তথ্যকর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৩ হাজার ৮২৩ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ৯ লাখ ৫৯ হাজার ২২৭ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ লাখ ৫০ হাজার ৭৫১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৪ হাজার ২২৪ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ১১ লাখ ৭৪ হাজার ৬২৭ জন এবং ৯ লাখ ৬২ হাজার ৬১৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৮৪০/-এএএ