বাজিস-৯ : মেঘনা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

115

বাজিস-৯
ভোলা-পানি-বিপদ
মেঘনা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
ভোলা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জেলায় মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়েক দিন যাবত উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও অমাবস্যার প্রভাবে স্থানীয় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে এ অবস্থা আরো ২/৩ দিন থাকতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, অতি জোয়ারের প্রভাবে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা আজ ও প্লাবিত হয়েছে।এতে করে জেলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের গঙ্গাকীর্তি ও কালাসুরা গ্রাম, মাঝের চর, দৌলতখানের মদনপুর, হাজ্বিপুর, মনপুরার কলাতলি,, চরফ্যাশন, তজুমদ্দিনে ও লালমোহন উপজেলার বাঁধের বাইরের অন্তত ২০ টি নিচু এলাকার বিস্তীর্র্ণ জনপদ পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দী কয়েক হাজার মানুষ।
জোয়ারের পানিতে ফসলের ক্ষেত, রাস্তা-ঘাট, বসত বাড়িও পুকুর ঘেরসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ভাটার সময় পানি নেমে গেলেও জনসাধারণের দুর্ভোগ কমেনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাসানুজ্জামান বাসস’কে বলেন, আজ সকাল ৭ টায় সর্বোচ্চ জোয়ারে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে গেছে। দুপুরে ভাটায় কমলেও সন্ধায় আবার পানি বৃদ্ধি পাবে। পানির যেই স্তরে উঠেছে তার উপরে যাওয়ার আশংকা কম। অতিরিক্ত পানিতে আমাদের বাঁধগুলোর কোন ক্ষতি হয়নি।
এদিকে গত ২/৩ দিন ধরে ভোলায় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। আজ সকাল থেকেও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিাপাত হচ্ছে। দুূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বিপাকে আছেন উপক’লীয় এলাকার বাসিন্দারা। সদরের শীবপুর ইউনিয়নের মেঘনা পাড়ের বাসিন্দা রহমান আলী ও বারেক মাঝি বলেন, তারা দরিদ্র মানুষ। তাই বাঁধের বাইরে বাস করেন। গত কয়েকদিন ধরেই দুই বেলা করে ঘরে পানি প্রবেশ করছে। টানা বৃষ্টিতে বের হতেও অসুবিধা। ভাটা হলেও দুর্ভোগ কাটছেনা। বেশি সমস্যায় আছে বয়স্ক ও শিশুরা।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাসানুজ্জামান আরো বলেন, অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময়ে জোয়ারের অধিক চাপ থাকায় উজানের পানি নামা শুরু হয়। এতে করে নদীর পানি বাড়ে। গত ২/৩ দিন ধরেই এ অবস্থা চলছে। তবে বাঁধের ভেতরের সবাই সুরক্ষিত আছে বলে জানান তিনি।
বাসস/এইচ এ এম/১৪২৭/নূসী