বাসস দেশ-২৩ : ঢাবি’র শিক্ষার্থীর ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত

90

বাসস দেশ-২৩
ধর্ষণ-মামলা-সাক্ষ্য
ঢাবি’র শিক্ষার্থীর ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত
ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো আজ ঢাকার একটি আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
এ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে আদালতে ঢাবি’র সেই শিক্ষার্থী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে সেই ছাত্রীর সাক্ষ্য নেয়া হয়। এরপর তাকে জেরা করেন মজনুর আইনজীবী রবিউল ইসলাম। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
মজনুর আইনজীবী রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। ধর্ষণের একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
পরের দিন সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)। এরআগে ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। গ্রেফতারের পরের দিনে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
১৬ জানুয়ারি ঘটনার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মজনু।
১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর।
২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার ভার্চুয়াল আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বর্তমানে সে কারাগারে আছে।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৮৫০/-কেজিএ