ডিএসসিসির অভিযানে ৯ মামলা ও সাড়ে ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা

453

ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৯টি মামলা দায়ের ও সাড়ে ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
ডিএসসিসি এলাকায় এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও অবৈধ ক্যাবল অপসারণে ভ্রাম্যমান আদালত আজ এসব অভিযান পরিচালনা করে।
ডিএসসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অভিযানের আজ ২৪তম দিনে কাজী মো. ফয়সালের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নীলক্ষেত এলাকায় মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ২৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলা দায়ের ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাশাপাশি অঞ্চল-২ এর আরামবাগ ও মতিঝিল এলাকায় ডিএসইসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ৪৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ৪টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি মামলা দায়ের ও ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এদিকে আজ ২৭তম দিনে নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় পল্টন মোড় থেকে নয়াপল্টনের ভিআইপি টাওয়ার পর্যন্ত অবৈধ কেবল অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তিনি এসময় ১৫টি ইলেকট্রিক পোল থেকে অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করেন এবং পল্টন মোড়ে নান্না বিরানীর রন্ধন কাজে ব্যবহৃত বর্ধিতাংশ ফুটপাতের ওপর থাকায় এ সময় নান্না বিরানি কর্তৃপক্ষ থেকে নগদ ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়াও মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পল্টন-নয়াপল্টন রোডের একটি ইলেকট্রিক পোলে একটি অস্থায়ী টং দোকান উচ্ছেদ করে তাদের বিরুদ্ধে ১টি মামলা দায়ের ও নগদ ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এদিকে কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ আজ আজিমপুর, পলাশী, নীলক্ষেত ও কাটাবন এলাকায় অবৈধ ক্যাবল অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ১৪টি ইলেকট্রিক পোল থেকে অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করেন।
ডিএসসিসি’র ৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ সব মিলিয়ে মোট ৯টি মামলা দায়ের ও নগদ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।