ফুটবলের উন্নয়নে সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদের ইশতেহার ঘোষণা

277

ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ (বাসস) : আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। আরো আগেই এই নির্বাচন আয়োজনের কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে পিছিয়ে যায় নির্বাচন।
এবারের নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মত সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন বর্তমানে ওই দায়িত্বে থাকা সাবেক কিংবদন্তী ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন। আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্যানেল ও নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে সালাউদ্দীন-মুর্শেদী’র সম্মিলিত পরিষদ। আজ রোববার রাজধানীর এক হোটেলে ইশতেহার ঘোষণা করেন পরিষদের প্রধান নেতা সালাউদ্দিন। সেই সঙ্গে তুলে ধরেন বিগত ১২ বছরে তার সাফল্যের চিত্র।
ইশতেহারে নতুন বলতে স্কুল ফুটবলকে মাঠে নামানোর উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। পাইপলাইন শক্ত করতে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজনের পাশাপাশি বাছাইকৃত ফুটবলারদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্প করার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
২০১২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ দলকে বিশ্বকাপে খেলানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। তবে সেটা সম্ভব হয়নি।বরং র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবনমন ঘটেছে।
এ সম্পর্কে সালাউদ্দিন বলেন, ‘প্রতিটি মানুষেরই কিছু লক্ষ্য থাকে। তখন বলেছিলাম বিশ্বকাপে খেলানোর, সেটা তো লক্ষ্য ছিল। আমরা সেই রাস্তায় নেমেছি, এখনো আছি। চেষ্টা করছি এগিয়ে নেওয়ার।’
সালাউদ্দিনের এই তিন মেয়াদে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৯৬ স্থানে নেমে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এ সম্পর্কে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমরা যখন এসেছি, তখন ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১৮০ ছিল; এখন ১৮৭। র‌্যাঙ্কিংয়ের অনেক কিছুর ব্যাপার আছে। বিশ্বকাপ জিতেও ফ্রান্স প্রথম অবস্থানে নেই। বেলজিয়াম আছে এক নম্বরে। এখানে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তিন বছর টানা ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে পারিনি। তাই গ্রাাফটা পেছনে গেছে। সামনে চেষ্টা করব কীভাবে ১৫০-এর কাছাকাছি আনা যায়।’
সালাউদ্দিন বলেন, ‘আজকে খেলোয়াড়রা ৫০-৬০ লাখ টাকা পাচ্ছে। আমাদের সময় তা ছিল না। আমি ১২ বছর ন্যাশনাল দলে খেলেছি এক জোড়া বুট পাইনি। এখন দুই তিন জোড়া বুট পায়, জার্সি পায়। আজকে আমার টিম পাঁচ-ছয়দিন আগে গিয়ে ক্যাম্প করে বাইরের দেশে গিয়ে।
সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে দাঁড়ানো আব্দুস সালাম মুর্শেদী বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে আরও পেশাদার করতে নিয়মিত ক্যালেন্ডার দেয়ার আশ্বাস দেন ।
সম্মিলিত পরিষদ প্যানেল:
সভাপতি : কাজী মো: সালাহউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, এমপি।
সহ-সভাপতি: কাজী নাবিল আহমেদ এমপি , আমিরুল ইসলাম বাবু, ইমরুল হাসান ও আতাউর রহমান মানিক।
সদস্য: মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ ফজলুর রহমান বাবুল, মোঃ হাসানুজ্জামান খান, জাকির হােসেন বাবুল, মোঃ রায়হান কবির, মোঃ সাইফুর রহমান মনি, হারুনুর রশীদ, মাহফুজা আক্তার (কিরন), সত্যজিৎ দাশ রূপু, মোঃ ইলিয়াছ হোসেন, বিজন বড়–ুয়া, মোঃ ইকবাল হোসেন,অমিত খান শুভ্র , মহিউদ্দিন আহমদ সেলিম, জাকির হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ রিয়াজুল করিম, কামরুল হাসান হিলটন, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ, মোঃ আসাদুজ্জামান মিঠু, মোঃ নুরুল ইসলাম (নুরু), শাকিল মাহমুদ চৌধুরী, সাইদুর রহমান মানিক।
আগামী ৩ অক্টোবরের নির্বাচনে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১৩৯জন ডেলিগেট।