নাটোরে তিন হাজার কৃষক পাচ্ছেন ২২ লাখ টাকার কৃষি প্রণোদনা

474

নাটোর, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জেলার তিন হাজার একশ’ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ২২ লাখ টাকার বীজ ও সারের মাধ্যমে পাচ্ছেন কৃষি প্রণোদনা। খরিপ-২ মৌসুমের মাসকালাই ডাল চাষের বীজ ও সার এবং শাক-সবজি চাষের প্রয়োজনীয় বীজ প্রদান করা হচ্ছে।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার পাঁচশত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে মাসকালাই চাষের জন্যে প্রয়োজনীয় বীজ ও সার প্রদান করা হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছেন লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় ১০০ জন করে কৃষক, সিংড়া উপজেলায় ৮০ জন কৃষক, নাটোর সদর উপজেলায় ৭০ জন কৃষক এবং নলডাঙ্গা, গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৫০ জন করে কৃষক। প্রত্যেক কৃষককে তাদের এক বিঘা জমিতে মাসকালাই চাষের জন্যে পাঁচ কেজি করে বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও পাঁচ কেজি করে এমওপি সার প্রদান করা হচ্ছে। এজন্যে মোট ব্যয় হবে তিন লাখ ৮২ হাজার টাকা।
অন্যদিকে জেলার মোট দুই হাজার ৬০০ কৃষকের প্রত্যেককে প্রদান করা হচ্ছে ১৩ প্রকার শাক ও সব্জি বীজ। এরমধ্যে সিংড়া উপজেলায় সর্বোচ্চ ৬০০ কৃষক, লালপুরে ৫০০ কৃষক, নাটোর সদর ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৩৫০ জন করে কৃষক, গুরুদাসপুরে ৩০০ কৃষক এবং নলডাঙ্গা ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় ২৫০ জন করে কৃষক এ বীজ পাচ্ছেন। প্রদত্ত শাক-সবজির বীজের মধ্যে রয়েছে লালশাক, ডাটাশাক, কলমিশাক, মুলাশাক, পুঁইশাক, পালংশাক, শসা, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, করলা, মরিচ, বরবটি ও শিম। প্রদত্ত মোট এক টন ২৬১ কেজি বীজের মোট মূল্য ১৮ লাখ সাত হাজার টাকা।
১৬ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলা খরিপ-২ মৌসুমে কৃষকরা তাদের আবাদি জমিতে মাসকালাই ডাল এবং শাক-সবজি চাষ করছেন। ইতোমধ্যে জেলার সিংড়া উপজেলায় সমূদয় সুবিধাদি কৃষকদের প্রদান করা হয়েছে। নাটোর সদর উপজেলায় মাসকালাই ডাল বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে, দ্রুত শাক-সবজির বীজ প্রদান করা হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জেলার অন্যান্য উপজেলায় প্রণোদনা বিতরণ কাজ সম্পন্নহবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মেহেদুল ইসলাম জানান, পাঁচ থেকে ৪৯ শতাংশ জমির মালিকানা থাকা কৃষককে প্রান্তিক কৃষক এবং ৫০ শতাংশ থেকে এক হেক্টরের নীচে পর্যন্ত জমির মালিকানা থাকা কৃষককে ক্ষুদ্র কৃষক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উপজেলার সকল ইউনিয়নের কৃিষ ব্লকগুলোতে সংশ্লিষ্ট কৃষক বাছাই করে উপজেলা কৃষি পূনর্বাসন ও প্রণোদনা বাস্তবায়ন কমিটি সভায় কৃষকদের তালিকা অনুমোদন করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের এ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বাসস’কে বলেন, ডাল বীজ ও সার এবং শাক-সবজির বীজ প্রদানের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক অবস্থান সুসংহত হবে এবং প্রণোদিত কৃষকদের উৎপাদন মোট দেশজ কৃষি উৎপাদনে সংযুক্ত হয়ে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।