বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি) : দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর

165

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি)
প্রধানমন্ত্রী-এপিএ-অনুষ্ঠান
দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য তার সরকার ২০১৪-১৫ সালে এপিএ চালু করে।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সামরিক বিধিবিধানের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক শাসকরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলে সরকারে এ ধরনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকে না।
তিনি বলেন, তাদের একনায়কতান্ত্রিক মনোভাবের কারণে তারা যা কিছু করে সবই ভালো এবং অন্যরা খারাপ এবং জনগণ এর খারাপ পরিণতি ভোগ করে এবং তারা অবহেলিত থাকে। যদিও, স্বৈরশাসক এবং সহযোগীরা এর সুবিধা ভোগ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণকে বঞ্চণা মুক্ত করা এবং তাদের সেবা করা। এই কারণে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা এবং কাজের গতিশীলতা আনতে সরকারি কাজকে ফলাফলমূখী করে তোলার জন্য এপিএ চালু করেছি।
জনগণ সরকারী সম্পত্তির মালিক বলে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য সম্পত্তিটি যথাযথভাবে ব্যবহার করা এবং জনগণের দোরগোড়ায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া।
আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য হচ্ছে তৃণমূল যা জাতির পিতাও করেছেন। তিনি বলেন, সংবিধানে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা সেবা, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মতো মৌলিক অধিকারকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছানোর জন্য ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষ উদযাপনে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, তবে, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে উদযাপন করতে পারিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের বৃক্ষরোপণ অভিযানের পাশাপাশি সারাদেশে এক কোটি গাছ লাগানোর কর্মসূচি নিয়েছে তাঁর দল।
তিনি বলেন, আমাদের এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে একজন ব্যক্তিও ভূমিহীন বা গৃহহীন না থাকে। আমরা এই বছরের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবগণ ও সচিবগণ তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এপিএ স্বাক্ষর করেন।
বিদ্যুৎ বিভাগ ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এপিএ বাস্তবায়নে সেরা কর্মসম্পাদক হিসেবে স্বীকৃতিসহ ক্রেস্ট এবং প্রশংসাপত্র পায়, অন্যদিকে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা কর্মসম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়।
এছাড়া, আরও সাতটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এপিএ বাস্তবায়নে তাদের অসামান্য কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রশংসাপত্র লাভ করে।
মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
২০১৯-২০ অর্থবছরে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে সততা প্রয়োগের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আবু হেনা মো. রহমতুল মুনিম শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষে সাফল্যের সাথে জাতীয় অখন্ডতা কৌশল প্রয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সেরা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে, অন্যদিকে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে দ্বিতীয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়কে তৃতীয় সেরা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এপিএ বাস্তবায়নে মন্ত্রনালয় ও বিভাগের অসামান্য কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের কাছে ক্রেস্ট এবং প্রশংসাপত্র হস্তান্তর করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বক্তব্য রাখেন।
বাসস/এসএইচ/এসই/১৯১৩/আরজি