বাসস দেশ-৩৩ : সিভিএফের বিষয়ভিত্তিক এম্বাসেডর হিসেবে কাজ শুরু করেছেন নাশিদ

116

বাসস দেশ-৩৩
নাশিদ-শুরু
সিভিএফের বিষয়ভিত্তিক এম্বাসেডর হিসেবে কাজ শুরু করেছেন নাশিদ
ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)’র বিষয় ভিত্তিক এম্বাসেডর হিসেবে কাজ শুরু করেছেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান স্পীকার মোহাম্মদ নাশিদ।
সম্প্রতি নাশিদ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)’র অনুষ্ঠিত এক সভায় বিষয় ভিত্তিক এম্বাসেডরের এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও এসডিজি সমন্বয়ক এবং সিভিএফ সভাপতির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, সিভিএফ প্রেসিডেন্সি ও সচিবালয়ের কর্মকর্তা এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিয়ময় করেন।
নাশিদের সিভিএফ এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করার প্রারম্ভিক এই সভায় বাংলাদেশ প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ নাশিদের ২০০৯ সালে সিভিএফ প্রতিষ্ঠার কথা স্মরণ করেন এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ফোরামটি শুরুর প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সিভিএফের সভাপতি শেখ হাসিনা বিশেষ দূত হিসেবে এই সংগঠনটির কার্যক্রমে বিষয় ভিত্তিক এম্বাসেডর হিসেবে নাশিদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নাশিদ বিশ্বের নেতৃবৃন্দ, জনগণ, বিভিন্ন দেশের সংসদ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে সিভিএফের জন্য কাজ করবেন। তিনি ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতের মধ্যে বর্ধিত প্যারিস চুক্তির জাতীয় অনুদান বা এনডিসি সরবরাহের ওপর গুরুত্বারোপ করবেন।
প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধানের উন্নত প্রয়োগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি প্রদান, ক্রমবর্ধমানভাবে কার্বন নির্গমণ এবং স্থিতিশীলতা দূর করার লক্ষ্যে জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা রচনা করতে নাশিদ আগ্রহী সরকারের সঙ্গে কাজ করবেন বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এছাড়াও অর্থনীতির কিছু অংশ কার্বনমুক্ত করা এবং জলবায়ু অভিযোজন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে তিনি (নাশিদ) সিভিএফ দেশগুলোতে প্রযুক্তি হাব স্থাপনের প্রস্তাব রাখার বিষয়ে কাজ করবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
সিভিএফ বৈশ্বিক জলবায়ু জরুরী অবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি হুমকির সম্মুখীন ৪৮টি উন্নয়নশীল দেশের একটি আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব। বাংলাদেশ ২০২০-২০২২ সময়ের জন্য এই ফোরামের প্রেসিডেন্ট।
এম্বাসেডরদের বুদ্ধি, প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা ব্যবহার করে সিভিএফকে আরও কার্যকর এবং এর কার্যক্রম ত্বরান্বিত করে সিভিএফের লক্ষ্য অর্জন করতে এ পর্যন্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি নাশিদসহ ৫ জন বিষয় ভিত্তিক এম্বাসেডর নিযুক্ত হয়েছেন।
তারা হলেন, বাংলাদেশের অটিজম বিশেষজ্ঞ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেল সদস্য সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, ফিলিপাইনের রাজনীতিবিদ, পরিবেশবাদী, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং সাবেক সাংবাদিক, এন্টিকের প্রতিনিধি ও হাউজের ডেপুটি স্পীকার লোরনা রেজিনা ‘লোরেন’ বাউতিস্তা লেগার্দা, জলবায়ু বিষয়ে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের সিনিয়র আলোচক তোসি এমপানু-এমপানু এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের বিশিষ্ট কবি, জলবায়ু কর্মী এবং দেশটি জলবায়ু বিষয়ক দূত ক্যাথি জেটন-কিজিনার।
বাসস/সবি/এমএএস/১৯১০/-এএএ