বাজিস-১ : উন্নয়নের রোল মডেল নাঙ্গলকোট পৌরসভা

200

বাজিস-১
কুমিল্লা-নাঙ্গলকোট পৌরসভা
উন্নয়নের রোল মডেল নাঙ্গলকোট পৌরসভা
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, (বাসস) : যে দিকেই তাকাই পাকা সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ল্যাম্প বাত্তি। অন্ধকার নামার সাথে সাথে পুরো এলাকা হয়ে যায় আলোকিত। এমনি চিত্র কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভায়।
নাঙ্গলকোট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড (শ্রীয়াস্য ও বেতাগাঁও গ্রাম), ২নং ওয়ার্ড (নাওগোদা ও দৌলতপুর গ্রাম) ও ৩ নং ওয়ার্ড (হরিপুর, গোত্রশাল ও দৈয়ারা) গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়কসহ প্রতিটি বাড়ির আশে পাশের সকল রাস্তা আর সিসি ঢালাই দেয়া হয়েছে। তারই পাশে রয়েছে ল্যাম্প লাইট ও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেস ব্যবস্থা। যা রাত নামার সাথে সাথে আলোকিত হয় পুরো এলাকা। আবার ওই সব সড়কের পাশে কিছু কিছু জায়গায় রয়েছে গার্ড ওয়াল, ব্রীজ ও কালভার্ট। অপরদিকে পৌর বাসীকে পানি সাপ্লাই দেয়ার জন্য চলছে পাইভ লাইনের কাজ।
পৌর অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে নাঙ্গলকোট ইউপির ১৪টি গ্রাম ও মৌকরা ইউপির ৫টি গ্রামসহ মোট ১৯টি গ্রামকে ৯ টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে নাঙ্গলকোট পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় বিএনপি সরকারের আমলে। পৌরসভার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে তেমন কোন কাজ হয়নি। মেয়র আসে মেয়র যায়, ভাগ্য বদল হয়নি পৌরবাসীর।
২০১৬ সালে আব্দুল মালেক পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণীতে রুপান্তর করে। পাশাপাশি ১নং ওয়ার্ডে ৫ কোটি ৭২ লাখ ৯০ হাজার ৬৯০ টাকা, ২নং ওয়ার্ডে ৫ কোটি ৬৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৩ টাকা ও ৩নং ওয়ার্ডে ১৬ কোটি ৬৬ লাখ ১৩ হাজার ০৬৯ টাকার উন্নয় কাজ হয়।
এ বিষয়ে শ্রীয়াস্য গ্রামের মাও. মোস্তফা কামালের ষাট বছরের বৃদ্ধা স্ত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, গত কয়েক বছর ধরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আগে রাস্তা ঘাটে চলা যেতো না কাদার জন্য। এখন বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে সকল সুবিধা পাই। নাওগোদা গ্রামের মাও. সোলেমান মজুমদার বাসসকে বলেন, এটি ছিলো অনুন্নত পৌরসভা। নামের পৌরসভার। বর্তমানে এটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। গত সাড়ে ৪ বছরের মধ্যে এসব কাজ হয়। এ বিষয়ে পৌর মেয়র আব্দুল মালেক বাসসকে বলেন, অর্থমন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এমপি আমাকে এ পৌরসভার দায়িত্ব দিয়ে বলেন, তিনি যেন পৌরবাসীকে ভালোবাসেন। তাই তিনি পৌরবাসির পাশে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। তিনি আরো বলেন, পৌরসভার ওয়ার্ড গুলোর মধ্যে ৩ নং ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধু চত্বর। এছাড়াও শতভাগ বিদ্যুত, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এলইডি লাইট স্থাপন, ড্রেনেজ, গার্ড ওয়াল, পুল, কালভার্ট, আর সিসি ডালাই সড়ক, পাকা সড়ক, বিভিন্ন পুকুর গুলোতে গণঘাটলা ও গণশৌচাগারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ওই সব ওয়ার্ডে আর সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হবে।
বাসস/সংবাদদাতা/০৯৫৫/নূসী