বাসস দেশ-৩০ : বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার রায় ৩০ সেপ্টেম্বর

165

বাসস দেশ-৩০
রিফাত হত্যা-রায়
বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার রায় ৩০ সেপ্টেম্বর
বরগুনা, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : বরগুনার শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায়ের দিন আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায়ের দিন ধার্য করেন। রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ঘোষণা করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে ৭৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ বুধবার নিহত রিফাতের স্ত্রী ও সাক্ষি থেকে আসামি হওয়া আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য আসামির পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এরপর সকল আসামির পক্ষে বিপক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনার পাবলিক প্রসিকিউটর ভুবন চন্দ্র হালদার জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ এই মামলার যুক্তিতর্কের অবশিষ্ট অংশ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম জানিয়েছেন, ‘যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে থাকা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিনের মেয়াদও শেষ হয়। তাই আমার জিম্মায় পুনরায় মিন্নির জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করি। আদালত তা মঞ্জুর করে’।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকান্ড ঘটে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; দুভাগে বিভক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জ কে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।
গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করে আদালত। এ মামলায় মোট ৭৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে ।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলো রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৮৫৫/-কেকে