বাসস দেশ-২০ : বিদেশে নির্যাতনের শিকার নারী কর্মীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট

185

বাসস দেশ-২০
হাইকোর্ট-আদেশ
বিদেশে নির্যাতনের শিকার নারী কর্মীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট
ঢাকা, ৩১ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কতজন নারী কর্মী গেছেন, কতজন শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তার তালিকা করে একমাসের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এসব নারী কর্মীরা দেশের বাইরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে সংশ্লিষ্টদের নিস্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।
আগামী এক মাসের মধ্যে প্রবাসীকল্যাণ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো মহাপরিচালক (ডিজি), ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বায়রার সভাপতি ও সেক্রেটারিকে এ তালিকা করে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশের নারীরা শারীরিক যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসছে। এসব নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওইসব প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন সাংবাদিকদের জানান, সৌদি থেকে যে সকল নারী কর্মীরা ফেরত এসেছে তারা সকলেই কম বেশি শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন তাদের উপর করা হয়েছে। এ কারণে জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রুলে বিদেশে যাওয়া নারীদের নিরাপত্তা এবং ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না এবং বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও আইন বহির্ভুতভাবে যদি কোন রিক্রুটিং এজেন্সি নারী কর্মী পাঠিয়ে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না এবং পুরুষ-মহিলাসহ কত কর্মী বিদেশে গিয়েছে, কতজন ফেরত এসেছে এবং কতজন নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারও একটি তালিকা চেয়েছে আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৭৪৫/অমি