শিল্পকলা একাডেমিতে ঐতিহ্য বিষয়ক প্রত্ন নাটক ‘মহাস্থান’

913

ঢাকা, ৫ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : ঐতিহাসিক স্থান বগুড়ার মহাস্থান গড়ের আড়াই হাজার বছরের ঐতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ে প্রত্ন নাটক ‘মহাস্থান’ প্রথম প্রদর্শনী হচ্ছে শিল্পকলা একাডেমিতে।
আগামী শনিবার ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় একাডেমির মাঠে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। মাঠের বিশ হাজার বর্গফুট জায়গায় প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন প্রায় তিনশত শিল্পী। পুরো মাঠই নাট্যমঞ্চে পরিণত হবে। এতো বিশাল ক্যানভাসের নাটক দেশে এটাই প্রথম। গত কয়েকদিন ধরে সেগুনবাগিচায় একাডেমির মাঠে নাটকটির মহড়া হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নাটকটি প্রযোজনা করছে। ‘ মহাস্থান ’ রচনা করেছেন সেলিম মোজাহার। নির্দেশনা দিচ্ছেন অভিনেতা, নাট্য ব্যাক্তিত্ব ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
নাটকের নির্দেশক লিয়াকত আলী লাকী বাসসকে জানান, এই প্রত্ন নাটকের মঞ্চের অবকাঠামোর মধ্যে ধারাবাহিকভাবে ৩০০ জন অভিনয় করবেন। একাডেমিতে ৭ এপ্রিল নাটকটি পরীক্ষামূলক প্রদর্শনী অনষ্ঠিত হবে। পরে বগুড়ার ঐতিহাসিক স্থান মহাস্থান গড়ের বাসু বিহারে ৩০ হাজার বর্গফুট জায়গায় দুটি উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে।
তিনি বাসসকে বলেন, নাটকে থাকছে ইতিহাস, তার আলোকে নৃত্য-গান, জারিসারিসহ মহাস্থানগড়ের পুরো ইতিহাস ও সংস্কৃতিধারা। এ সবরের মধ্যে রয়েছে আদি, বৈদিক, রামায়ণ,কালিদাস, চর্যাপদ,পঞ্চকবি, লালনসহ বিভিন্ন যুগের সংস্কৃতির সাধক ও তাঁদের সৃষ্টিকর্ম। এর আগে একাডেমি থেকে ছোট আকারের দুটি প্রত্ন নাটক হয়েছিল। কিন্তু এতো বিশাল ক্যানভারে প্রত্ন নাটক দেশে এই প্রথম হচ্ছে।
নাটকের রচয়িতা সেলিম মোজাহার বাসসকে জানান, এ নাটক ইতিহাস, পুরাণ, লোকশ্রুতি, কিংবদন্তি সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। বাংলায় রাজনৈতিক ইতিহাসের সাথে যে সাংস্কৃতিক ইতিহাসও রয়েছে-তা এ নাটকের মধ্যদিয়ে নাটকপ্রিয় মানুষ জানতে পারবেন। নাটকের গল্প আড়াই হাজার বছরের ইতিহাস থেকে নিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এসে শেষ হয়ে যাবে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয় ’ কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে। দুই ঘন্টার নাটকটির সংগীত পরিকল্পনায় রয়েছেন কমল খালিদ।
শিল্পকলা একাডেমির নাট্যবিভাগ থেকে জানান হয়, নাটকটি একাডেমির নিজম্ব প্রযোজনা। এতে ঢাকার ৬০জন এবং বগুড়ার ১০০জন অভিনয় শিল্পী অংশ নেবেন। অন্যদিকে ঢাকার ৩০ জন ও বগুড়ার ৭০ নৃত্য শিল্পী অংশ নিচ্ছেন। শিল্পী কলাকুশলী মোট ৩০০জন।
নাটকের প্রযোজনা সমন্বয়কারী হচ্ছেন আলী আহমেদ। তিনি জানান, এক বছর আগে নাটকটির কাজ শুরু হয়। মহড়া শেষ হয়েছে। এটি একাডেমির একটি পরীক্ষামূলক বড় আকারের নাটক। ভবিষ্যতেও এ ধরনের বড় কাজ অব্যাহত রাখবে একাডেমি।