বাসস দেশ-২৬ (লিড) : দেশে ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ৪১ জন, সুস্থ ২,৯৯৫

140

বাসস দেশ-২৬ (লিড)
করোনা-আপডেট
দেশে ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ৪১ জন, সুস্থ ২,৯৯৫
ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড এ আক্রান্ত হয়ে ৪১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৯৫ জন।
গতকালের চেয়ে আজ ৫ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৩৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ হাজার ৫৯৩ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গতকাল মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৯৫ জন। গতকালের চেয়ে ২৪১ জন কম সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ৩ হাজার ২৩৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজার ৮০৪ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৯ দশমিক ৭১ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৬৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ৭৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৮২৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ৬৫ জন কম শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল ১৪ হাজার ৯৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৮৯২ জন।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ লাখ ৩১ হাজার ৭৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৭৯২ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৫ হাজার ১৪২ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৩৫০টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৯৪টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৭৭৫ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৪ হাজার ৯৭৩ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১৯৮টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে গত ২৪ ঘন্টায় ১০ দশমিক ৭৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত ১৯৪৪ দশমিক ০১ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৪ ঘন্টায় প্রতি ১০ লাখে ১৭ দশমিক ৫৯ জন, এ পর্যন্ত ১৩৫৫ দশমিক ২৩ জন এবং ২৪ ঘন্টায় প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন দশমিক ২৪ জন, এ পর্যন্ত মৃত্যু ২৬ দশমিক ৯৭ জন।
২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ১২ জন নারী।
এদের মধ্যে হাসপাতালে ৩৬ জন, মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ২ জন এবং বাড়িতে ৩ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৮২ জন পুরুষ; ৭৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং ১ হাজার ১১ জন নারী; ২২ দশমিক ০১ মারা গেছেন।
২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ষাটোর্ধ্ব ২৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ এবং শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২০ জন; যা দশমিক ৪৪ শতংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৯ জন; যা দশমিক ৮৫ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১০৯ জন; যা ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৭৭ জন; যা ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৬০১ জন; যা ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ২৪৭ জন; যা ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ২ হাজার ৩০০ জন; যা ৫০ দশমিক ০৮ শতাংশ।
বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, রাজশাহীতে ৫ জন, খুলনায় ৪ জন, বরিশালে ১ জন, সিলেটে ২ জন, ময়মনসিংহে ১ জন এবং রংপুরে ৫ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২ হাজার ২১৭ জন; যা ৪৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৭৮ জন; যা ২১ দশমিক ২৯ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৩০৬ জন; যা ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৩৯০ জন; যা ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ১৭৮ জন; যা ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২০৮ জন; যা ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ২১৮ জন; যা ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৮ জন; যা ২ দশমিক ১৩ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ১০৫টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৫ জন ও শয্যা খালি আছে ৪ হাজার ৪০টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩০৭টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ১৯৪ জন ও শয্যা খালি আছে ১১৩টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭৮২টি, ভর্তিকৃত রোগী ১৮৯ জন ও শয্যা খালি আছে ৬০৩টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩৯টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৮ জন ও শয্যা খালি আছে ২১টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭ হাজার ৪২৬টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ১ হাজার ২০০ জন ও শয্যা খালি আছে ৬ হাজার ২২৬টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২০১টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৮৯ জন ও শয্যা খালি আছে ১১২টি । সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৪ হাজার ৩১৩টি, রোগী ভর্তি আছে ৩ হাজার ৪৪৪ জন এবং শয্যা খালি আছে ১০ হাজার ৮৬৯টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৪৭টি, রোগী ভর্তি আছে ৩০১ জন এবং খালি আছে ২৪৬টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৩ হাজার ১১টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৪৯০টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ১৭৩টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd Gi CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ২ হাজার ৯৯৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১ হাজার ৫৩৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৮৮ জন, রংপুর বিভাগে ৮৭ জন, খুলনা বিভাগে ৪১৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৯৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৫৬ জন, সিলেট বিভাগে ৫০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৬ জন রয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৪০০ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৭৩৪ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘন্টায় ৫৭৩ জন এবং এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৭৯৯ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৭৫ হাজার ৫৩৩ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘন্টায় এক হাজার ৭১২ জন এবং এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৫৮৮ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ৭৯৬ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫১ হাজার ২০৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৯ হাজার ১৭০টি, ৩৩৩ এই নম্বরে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৩৭টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ২৬৬টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৭৩টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ২ লাখ ২ হাজার ৮৪টি।
করোনাভাইরাস চিকিৎসা বিষয়ে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৪৯৮ জন চিকিৎসক অনলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ৪ হাজার ২১৭ জন স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইইডিসিয়ার’র হটলাইনগুলোতে স্বেচ্ছাভিত্তিতে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা জনগণকে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া ২৪ ঘন্টায় কোভিড বিষয়ক টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন ৪ হাজার ১২২ জন। এ পর্যন্ত শুধু কোভিড বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেছেন ৩ লাখ ১৭ হাজার ২২৭ জন। প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক ও ১০ জন স্বাস্থ্য তথ্যকর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৪ হাজার ২৪৬ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ৯ লাখ ৯ হাজার ২৯০ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ১১২ জন এবং এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৮৫ হাজার ৮২৭ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ৯১৬ জন এবং এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৯১ হাজার ৩১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৯০০/এএএ