বাসস দেশ-৩৮ :গোয়েন্দা প্রতিবেদন পর্যবেক্ষনে কমিটি গঠনের পরামর্শ

199

বাসস দেশ-৩৮
আইন-শৃঙ্খলা-স্বরাষ্ট্র
গোয়েন্দা প্রতিবেদন পর্যবেক্ষনে কমিটি গঠনের পরামর্শ
ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন সমন্বয় ও পর্যবেক্ষনের লক্ষ্যে কমিটি গঠনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন সমন্বয় করে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ওনাদের (গোয়েন্দা সংস্থা) কাজ আমরা অবজ্ঞা বা অবমূল্যায়ন করছি না বা বিবেচনায় দেয়া হবে না, তা নয়। যারা নির্যাতিত, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মেইন ফাংশন, কেন এ ঘটনা ঘটলো, উৎস কী বা যে সমস্ত ক্রাইম সেগুলো দেখার জন্য এই কমিটি। হয়তো একেক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট একেক রকম আসতে পারে আবার একই রকম আসতে পারে। সেজন্য আমরা একটা কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছি। তাহলে সব দেখে-শুনে একটা সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছি, উনি কমিটি গঠন করবেন। ’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সব ডিপার্টমেন্টকে নিয়ে একটি ইন্টিগ্রেটেড কমিটি থাকবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিক্ষিপ্তভাবে কাজ করে, সমন্বয় করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। সব রিপোর্ট একত্রে নিয়ে প্রতিকার করতে সহজ হবে। নিজ নিজ গোয়েন্দা শাখার প্রধানদের কাছে রিপোর্ট দেবে এবং সব রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে কম্পাইল হবে। সবগুলোকে এক ছাতার নিচে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, সারাদেশে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখার যে বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে, তারা কী বলছেন বা কী মনে করছেন বা কী সাজেশন দিচ্ছেন এগুলো বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কী করা উচিত? প্রত্যেকটা ইন্ডিভিজ্যুয়াল আসছে, সেটাকে আমরা একত্রিত করে কী সিদ্ধান্ত নেয়া যায় সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে পারে।
মোজাম্মেল হক বলেন, সিনহা হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে, তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যাতে আইন খুব কঠোরভাবে প্রয়োগ হয়, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ়প্রত্যয়ী।
মাদক যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাকে বলা হয়েছে মাদকের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের আইডেন্টিফাই করে হাত দিতে হবে। একই সঙ্গে মাদকবিরোধী নতুন আইনও হয়েছে, যা আছে মাদকের বিরুদ্ধে এদেশে আইন ছিল না। পুলিশ ধরে নিয়ে মামলা দিলে বেল পেত। এ বিষয়গুলো আমরা নজরে আনছি।’
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ এর উপরে বিদেশি নাগরিক আছেন, যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ ও ভিসা নেই। তারা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় এদেশে অবস্থান করছেন। তারা এসব নানা ক্রাইমে জড়িয়ে যাচ্ছেন। বিক্ষিপ্তভাবে গুলশানে, এখানে-সেখানে, হোটেলে তারা থাকে।
তাদের পরিপূর্ণ তালিকা পুলিশ বিভাগের কাছে আছে। এদের সবাইকে ক্যাম্পে নিয়ে রেখে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য তাদের যদি নিজেদের টিকিট কাটার সামর্থ্য না হয় সরকারি পয়সায় টিকিট কেটে তাদের দেশে পাঠানোর জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বাসস/এমএসএইচ/২০৪০/কেএমকে