বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রতিশ্রুত চাঁদার পরিমাণ বাড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

182

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-জিসিএ
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রতিশ্রুত চাঁদার পরিমাণ বাড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন এবং গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃস্বরণ ও অন্যান্য পরিবেশ বিপন্নতা থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ২০০৯ সালে প্রণীত বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্রাটেজি এন্ড একশন প্লানের আওতায় বিভিন্ন মিটিগেশন ও এডাপটেশন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করি এবং একশ প্লান বাস্তবায়নে আমদের নিজস্ব সম্পদ থেকে এ পর্যন্ত ৪৩ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর জিডিপির এক শতাংশ এডাপটেশনে ব্যয় করে আসছে, যার পরিমাণ বছরে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে ১০০ বছরের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে, যা ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান-২১০০’ নামে পরিচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে বিশ্বে প্রায় ৭০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর অর্ধেকই এতদঞ্চলের। তিনি বলেন, জনগণ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধকল সেরে উঠতে না উঠতে আরেকটি আঘাত হানে। এর অবসানে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বৃহত্তর স্থিতিস্থাপকতা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা এই চমৎকার অনুষ্ঠান আয়োজন এবং এতে যোগ দেয়ার জন্য জিসিএ চেয়ার বান কি-মুন, ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট ও জিসিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রফেসর ড.প্যাট্রিক ভি. ভারকুইজেনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা এক সঙ্গে লড়াই করব, এক সাথে কাজ করব এবং একসঙ্গে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করব।’
বান কি-মুন সাফল্যের সংগে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্বের মানুষ জানে সাফল্যজনকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেরা উদাহরণ। তাই আমরা ঢাকায় জিসিএ আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ডাচ প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে জিসিএ আঞ্চলিক অফিস প্রতিষ্ঠার জন্য ঢাকাকে বাছাই করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান। দক্ষিণ এশিয়ায় এটি হবে জিসিএ’র প্রথম আঞ্চলিক অফিস। তিনি বলেন ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপটেশনে বাংলাদেশের নেতৃত্বের এটি পরিস্কার লক্ষণ।’
ঢাকার আগারগাঁওতে পরিবেশ অধিদপ্তরের নতুন ভবনে জিসিএ আঞ্চলিক সেন্টার হচ্ছে।
বাসস/এসএইচ/অনু-এবিএইচ/২০৩০/এবিএইচ