বাসস ক্রীড়া-১ : করোনাকালে টি-২০ সিরিজ জয়ের স্বাদও নিলো ইংল্যান্ড

132

বাসস ক্রীড়া-১
ক্রিকেট-টি-২০
করোনাকালে টি-২০ সিরিজ জয়ের স্বাদও নিলো ইংল্যান্ড
সাউদাম্পটন, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ (বাসস) : করোনাকালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, না পারলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঠিকই টি-২০ সিরিজ জিতে নিলো স্বাগতিক ইংল্যান্ড। গতরাতে দ্বিতীয় টি-২০তে জশ বাটলারের ব্যাটিং নৈপুন্যে অসিদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইংলিশরা। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। প্রথম টি-২০ ২ রানে জিতেছিলো ইয়োইন মরগানের দল।
গেল মার্চে করোনাভাইরাসের কারনে ক্রিকেট বন্ধ হবার পর গেল জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলছে ইংল্যান্ড। ইতোমধ্যে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটই খেলেছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট ২-১ ব্যবধানে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে, পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে ইংল্যান্ড। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করে ইংল্যান্ড। করোনাকালে টেস্ট, ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারলেও, টি-২০ পারছিলনা তারা। অবশেষে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টি-২০তেও সিরিজ জয়ের স্বাদও নিলো ইংল্যান্ড।
সাউদাম্পটনে দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে এবার প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম টি-২০তে জয়ের কাছে গিয়ে ম্যাচ হারা অসিদের ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। ৫ ওভারে ৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার খালি হাতে, অ্যালেক্স ক্যারি ২ ও স্টিভেন স্মিথ ১০ রান করে ফিরেন।
চতুর্থ উইকেটে ৪২ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়েছিলেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও মার্কাস স্টয়নিস। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৩ বলে ৪০ রান করা ফিঞ্চকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস জর্ডান।
ফিঞ্চের পরপরই প্যাভিলিয়নে ফিরেন স্টয়নিসও। ২টি করে চার-ছক্কায় ২৬ বলে ৩৫ রান করে আদিল রশিদেও শিকার হন তিনি।
১৩তম ওভার শেষে ৮৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এ অবস্থা থেকে দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌছানোর পরিকল্পনা করেন হার্ড-হিটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যাস্টন আগার। জুটিতে ৩২ বলে ৪৩ রান এনে দেন তারা। ১৮ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ২৬ রান করা ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান জর্ডান।
ফলে ১৮ দশমিক ২ ওভার শেষে অসিদের রান দাড়ায় ১৩২এ। তবে শেষদিকে, ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন প্যাট কামিন্স। ৫ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ১৩ রান করেন তিনি। এতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান পায় অস্ট্রেলিয়া। ২০ বলে ২৩ রান করেন আগার। ইংল্যান্ডের জর্ডান ৪০ রানে ২টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৫৮ রানের লক্ষে খেলতে নেমে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। দলীয় ১৯ রানে ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে ফেরান অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক। ৯ রান করেন বেয়ারস্টো।
এরপর আগের ম্যাচের সেরা ডেভিড মালানকে নিয়ে ইংল্যান্ডের জয়ের পথ সহজ করে ফেলেন আরেক ওপেনার বাটলার। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন তারা। এরমধ্যে ৩২ বলে ৭টি চারে ৪২ রান করে ফিরেন মালান। আগারের প্রথম শিকার হন তিনি।
মালানের পর মিডল-অর্ডারে দ্রুত ২ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। টম ব্যান্টন ২ ও অধিনায়ক মরগান ৭ রান করে ফিরেন। এতে রান তোলার গতি কমে স্বাগতিকদের।
এমন অবস্থায় জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ১৮ রান প্রয়োজন পড়ে ইংল্যান্ডের। ১৯তম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার এডাম জাম্পাকে ২টি ছক্কা ও ১টি চার মেরে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন বাটলার।
৭১ ম্যাচের টি-২০ ক্যারিয়ারে নবম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেয়া বাটলার ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ৫৪ বলের ইনিংসে ৮টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। তার সাথে মঈন আলি ৬ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার আগার ২৭ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাটলার।
আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (টস-অস্ট্রেলিয়া) :
অস্ট্রেলিয়া : ১৫৭/৭, ২০ ওভার (ফিঞ্চ ৪০, স্টয়িনিস ৩৫, জর্ডান ২/৪০)।
ইংল্যান্ড : ১৫৮/৪, ১৮.৫ ওভারে (বাটলার ৭৭*, মালান ৪২, আগার ২/২৭)।
ফল : ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : জশ বাটলার (ইংল্যান্ড)।
সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
বাসস/এএমটি/১২৪৫/স্বব