বাসস ক্রীড়া-৭ : একই ব্র্যান্ডের বল দিয়ে সব দেশে খেলা উচিত : ওয়াকার

122

বাসস ক্রীড়া-৭
ক্রিকেট-ওয়াকার
একই ব্র্যান্ডের বল দিয়ে সব দেশে খেলা উচিত : ওয়াকার
লন্ডন, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ (বাসস) : একই ব্র্যান্ডের বল দিয়ে বিশ্বের সব দেশে টেস্ট খেলা উচিত বলে মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান দলের বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিস। সদ্য শেষ হওয়া ইংল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ডিউক বলে খেলা হয়েছে। আবার অন্য দেশে টেস্ট খেলা হয় ভিন্ন ব্র্যান্ডের বল দিয়ে। কিন্তু ওয়াকার মনে করেন, সব দেশের এক ব্র্যান্ডের বলেই খেলা হলে ভালো হয়। এজন্য আইসিসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ইংল্যান্ডের মাটিতে এবারের টেস্ট সিরিজে ব্যবহার করা হয় ডিউক বল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডেও ডিউক বল দিয়ে খেলা হয়। তবে ভারতে এসজি বল দিয়ে খেলা হয়। আবার অস্ট্রেলিয়ায় হয় কোকাবুরা। বাংলাদেশে কখনও কোকাবুরা বা এসজি দিয়ে খেলা হয়। সেটি নির্ভর করে প্রতিপক্ষের দুর্বলতার উপর।
কিন্তু ওয়াকারের মতে, সব দেশে এক ব্র্যান্ডের বল ব্যবহার হলে ভালো হয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ওয়েবসাইটে নিজের এক কলামে ওয়াকার লিখেন, ‘এবারের ইংল্যান্ড সফরে আমরা ডিউক বল দিয়ে খেলেছি। কিন্তু আমি মনে করি, এক ব্র্যান্ডের বল দিয়েই সব দেশে টেস্ট ম্যাচ হওয়া উচিত। একেক দেশে একেক ধরনের বল দিয়ে খেলা হলে তা বোলারদের জন্য মানিয়ে নেওয়া খুব কঠিন হয়।’
বোলারদের কথা চিন্তা করে ক্রিকেটের প্রধান সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সব দেশে এক ব্র্যান্ডের বলে টেস্ট ম্যাচ খেলার নিয়ম চালু করা, উচিৎ জানিয়ে ওয়াকার বরেন, ‘বিভিন্ন বলে খেললে বোলারদের জন্যই তা সমস্যা হয়। তাই যে ব্র্যান্ডের বল হোক-না কেন, আইসিসির উচিত একই ব্র্যান্ডের বলে টেস্ট আয়োজনেরনিয়ম করা। আমি নিজেও ডিউক বলের বড় সমর্থক। এটি বোলারদের ভালো সহায়তা করে। তবে যেকোন ব্র্যান্ড হলে, কোন বোলারের সমস্যা হবে না।’
করোনার কারনে এবারের ইংল্যান্ড সফরের টেস্ট সিরিজে মুখের থুথু ব্যবহার করতে পারেনি বোলাররা। তাই সুইং ও বৈচিত্র্যময় বল করা কঠিন ছিলো বোলারদের। তবে এবারের ইংল্যান্ড সফরে নিয়মে কোন সমস্যা হয়নি বলে জানান ওয়াকার। কন্ডিশনের কারনে সমস্যা হয়নি বলে জানান ওয়াকার, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে নতুন নিয়ম বোলারদের খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি। কারন কন্ডিশন বোলারাদের পক্ষে ছিলো। তবে টেস্ট সিরিজে দুই দলের বোলারদের জন্য এই নিয়মটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার কারণে পিচ শুষ্ক ছিলো, বাতাসে আর্দ্রতা ছিল প্রচুর। তাই বোলাররা ভালোভাবে বলকে সামলাতে পেরেছে।’
বাসস/এএমটি/১৯০০/-স্বব