স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কাজ করবে আইইবি ও আইসিটি বিভাগ

770

ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : দেশে একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য যৌথভাবে কাজ করবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ডিভিশন।
আজ ‘সেন্টার অব এক্সসিলেন্স অন ফোর্থ ইন্ডাস্টিয়াল রেভোলিউশন’ এবং ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফর ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ তে যৌথভাবে রিসার্চ ও ইনোভেশন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইইবি এবং আইসিটি ডিভিশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তারা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন আইইবি’র প্রেসিডেন্ট এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
সমঝোতা স্মারকে আইইবি’র পক্ষে স্বাক্ষর করেন আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ এবং আইসিটি বিভাগের পক্ষে স্বাক্ষর করেন আইসিটি বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আক্তরুজ্জান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিআরআই এর কোঅর্ডিনেটর প্রকৌশলী তন্ময় আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তেব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অনেক। ‘সেন্টার অফ এক্সসিলেন্স অন ফোর্থ ইন্ডাস্টিয়াল রেভিউলেশন’ এবং ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফর ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’তে কোর্স কারিকুলাম যুগোপযোগী করা এবং প্রশিক্ষণ, গবেষনা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনায় আইইবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত জ্ঞান নির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে একসাথে কাজ করবে আইইবি ও আইসিটি ডিভিশন।
বিশেষ অতিথির বক্তেব্যে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে ‘ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি’র পাশাপাশি ‘সায়েন্স ডিপ্লোমেসি’ ও টেকনোলজি ডিপ্লোমেসি’তেও আমাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করতে, নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে এবং নিজস্ব প্রযুক্তি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে এই কূটনীতি সামনের দিনগুলোতে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আইইবি’র কম্পিউটার ডিভিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি প্রকৌশলী মো. রওনক আহসান।