ডিএনসিসি’র ১ হাজার ১৯৪টি হোল্ডিং ও ৬০৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন

450

ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : রাজস্ব বাড়াতে চলমান চিরুনী অভিযানের তৃতীয় দিনে বৃহস্পতিবার ১ হাজার ১৯৪টি হোল্ডিং ও ৬০৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
এর মধ্যে ৮৩টি হোল্ডিংয়ে ইতোপূর্বে ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট করা হয়নি। এছাড়া ২০৪টি হোল্ডিং এরআগে অ্যাসেসমেন্ট করা হলেও পরবর্তীতে হোল্ডিংগুলো সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সম্প্রসারিত এ সকল হোল্ডিংকে ট্যাক্সের আওতায় আনা হবে।
পরিদর্শনকৃত ৬০৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৪টিতে লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি এবং ৩৩৭টি ট্রেড লাইসেন্সবিহীন পাওয়া যায়।
চিরুনী অভিযান চলাকালে মিরপুরে (অঞ্চল-২) আজ ৬১৪টি হোল্ডিং পরিদর্শন করে ৫৭টি হোল্ডিং ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট বিহীন এবং ১৪২টি হোল্ডিং সম্প্রসারিত
পাওয়া যায়। এছাড়া ৩৪৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ৭টি লাইসেন্স নবায়নবিহীন এবং ৩১৭টি ট্রেড লাইসেন্সবিহীন পাওয়া যায়।
এছাড়া কাওরান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) আজ ২৯৮টি হোল্ডিং পরিদর্শন করে ৫টি হোল্ডিং ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্টবিহীন এবং ৫৪টি হোল্ডিং সম্প্রসারিত পাওয়া যায়। এছাড়া ২৬১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ১৭টি ট্রেড লাইসেন্স নবায়নবিহীন এবং ২০টি ট্রেড লাইসেন্সবিহীন পাওয়া যায়।
গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া চিরুনী অভিযানে আজ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৬৭৬টি বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ২০৬টি হোল্ডিং ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্টবিহীন এবং ৪৭৭টি ভবন সম্প্রসারিত পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জন করে নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন কর্মকা- জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষে করের হার না বাড়িয়ে করের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ডিএনসিসি। এ লক্ষে ১ সেপ্টেম্বর থেকে মাসব্যাপী মিরপুর (অঞ্চল-২) ও কাওরান বাজারে (অঞ্চল-৫) চিরুনী অভিযান চলছে। ডিএনসিসির অন্যান্য অঞ্চলেও পরবর্তীতে এই চিরুনী অভিযান পরিচালিত হবে।
এই চিরুনী অভিযানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, করের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি বাদ পড়া হোল্ডিং বা প্রতিষ্ঠানকে করের আওতাভূক্ত করা এবং রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রমে ওয়াড কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা। আর এভাবে রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে জনসাধারণকে পৌরকর প্রদানে উৎসাহ প্রদান করা।
চিরুনী অভিযানে কর বহির্ভূত বাড়ি-ঘর ও স্থাপনাকে এবং নতুন সৃষ্ট ফ্ল্যাট, বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা করের আওতায় আনা হবে। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা ও আইনসম্মতভাবে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স দ্বারা পরিচালিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা ও নবায়নের আওতায় আনা হবে।
চিরুনী অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে আহবায়ক এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরকে যুগ্ম আহবায়ক করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। একজন উপ-কর কর্মকর্তা কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। এই কমিটি কর বহির্ভূত বাড়ি-ঘর এবং ট্রেড লাইসেন্সবিহীন লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করবে।