সিনহা হত্যা মামলা : ওসি প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত কমিটি

219

কক্সবাজার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০(বাসস) : সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি প্রদীপ কুমার দাশকে কারাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে কমিটির ৪ সদস্য কারাগারে প্রবেশ করেন।
কক্সবাজার কারাগারের সুপার মোঃ মোজাম্মেল হোসেন জানিয়েছেন, কমিটির সদস্যরা প্রদীপ কুমার দাশকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কমিটির সদস্যরা কারাগার থেকে বের হয়ে যান।
এই সময়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে ওসি প্রদীপের সাথে কথা বলেছি। তার দেয়া তথ্য এবং আগে প্রাপ্ত তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করছি। আশা করছি, সরকারের দেয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা প্রতিবেদন দিতে পারবো।’
এদিকে সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ সাক্ষী বুধবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই তিন সাক্ষী হলেন, টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছ।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে এই তিন জনকে আদালতে নিয়ে আসেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা র‌্যাবের সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম। বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই তিন সাক্ষী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ’র খাস কামরায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। এরপর আদালত থেকে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিনহা হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াছকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই ৩ জনকে আদালতে হাজির করে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডের প্রথম দিনেই ৩ আসামী সিনহা হত্যা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এজন্য বুধবার সকাল ১০ টার দিকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে তাদেরকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। স্বীকারোক্তি শেষে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। সিনহা খুনের ঘটনায় গত ৫ আগস্ট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামি ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী এবং এপিবিএন এর ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। মামলায় এই পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত আসামির সংখ্যা ১৩ জন।