বাসস দেশ-২৯ (লিড) : দেশে করোনা সংক্রমণ কমেছে, বেড়েছে সুস্থতা

108

বাসস দেশ-২৯ (লিড)
করোনা-আপডেট
দেশে করোনা সংক্রমণ কমেছে, বেড়েছে সুস্থতা
ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তের ১৭৮তম দিনে এই ভাইরাসে সংক্রমণের হার কমেছে। অপর দিকে বেড়েছে সুস্থতা।
গত ২৪ ঘন্টায় ১২ হাজার ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৯৫০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ২২৪ জন কম শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল ১২ হাজার ৪৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ১৭৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ কম।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৪১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ২০ দশমিক ১৯ শতাংশ।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৯০ জন। গতকালের চেয়ে আজ ২১০ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ২ হাজার ৯৮০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ১৭৭ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৬ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৬৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকালের চেয়ে আজ ২ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৩৩ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ হাজার ৩১৬ জন।করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গতকালও মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৯৮১ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১২ হাজার ৮৯ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১০৮টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৯২টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ২০৯ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১২ হাজার ৪৫৪ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ২৪৫টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ এবং ১৪ জন নারী। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৮৫ জন পুরুষ; ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ৯৩১ জন নারী; ২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেছেন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৩২ জন এবং বাড়িতে ৩ জন মারা গেছেন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ষাটোর্ধ্ব ১৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন; যা শূন্য দশমিক ৪৪ শতংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৬ জন; যা শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১০৫ জন; যা ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৬৩ জন; যা ৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৭৭ জন; যা ১৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ১৮২ জন; যা ২৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ২ হাজার ১৩৪ জন; যা ৪৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রামে ৭ জন, রাজশাহীতে ৩ জন, খুলনায় ৩ জন, বরিশালে ২ জন, সিলেটে ১ জন, রংপুরে ৪ জন এবং ময়মনসিংহে ১ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২ হাজার ৮৩ জন; যা ৪৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৩৯ জন; যা ২১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ২৯০ জন; যা ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৩৫৯ জন; যা ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ১৬৮ জন; যা ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ১৯২ জন; যা ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ১৯৪ জন; যা ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৯১ জন; যা ২ দশমিক ১১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ৩ হাজার ২৯০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১ হাজার ৮৬০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫৬ জন, রংপুর বিভাগে ১৪৯ জন, খুলনা বিভাগে ২২০ জন, বরিশাল বিভাগে ৬৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০৮ জন, সিলেট বিভাগে ২৪৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৮ জন রয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৬২৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ৯৩৭ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৬৩৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ৫২ হাজার ২৬ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৭১ হাজার ৯৬৩ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ১৩১ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৩৩৩ জন এবং এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৪৫ হাজার ১০৪ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ১১৯ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫২ হাজার ১৫ জন।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৬২৯টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৭৯ জন ও শয্যা খালি আছে ৪ হাজার ৫৫০টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩১০টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ১৮২ জন ও শয্যা খালি আছে ১২৮টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭৮২টি, ভর্তিকৃত রোগী ১৫৮ জন ও শয্যা খালি আছে ৬২৪টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩৯টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ২৬ জন ও শয্যা খালি আছে ১৩টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭ হাজার ৪৩৬টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ১ হাজার ৫১২ জন ও শয্যা খালি আছে ৫ হাজার ৯২৪টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২০১টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৯২ জন ও শয্যা খালি আছে ১০৯টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৪ হাজার ৮৪৭টি, রোগী ভর্তি আছে ৩ হাজার ৭৪৯ জন এবং শয্যা খালি আছে ১১ হাজার ৯৮টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৫০টি, রোগী ভর্তি আছে ৩০০ জন এবং খালি আছে ২৫০টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৭৫টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৪৬৮টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ১৮১টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া িি.িফমযং.মড়া.নফ এর ঈঙজঙঘঅ কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা যঃঃঢ়:/ধঢ়ঢ়.ফমযং.মড়া.নফ/পড়ারফ১৯-পড়সঢ়ষধরহ লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৯ হাজার ২৩১টি, ৩৩৩ এই নম্বরে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬২৭টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ২৮৮টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৫৪ হাজার ১৪৬টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার ৩০৫টি।
করোনাভাইরাস চিকিৎসা বিষয়ে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৪৯৮ জন চিকিৎসক অনলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ৪ হাজার ২১৭ জন স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইইডিসিয়ার’র হটলাইনগুলোতে স্বেচ্ছাভিত্তিতে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা জনগণকে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া ২৪ ঘন্টায় কোভিড বিষয়ক টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন ৫ হাজার ৫২৭ জন। এ পর্যন্ত শুধু কোভিড বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৯ জন। প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক ও ১০ জন স্বাস্থ্য তথ্যকর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৩ হাজার ৫৮০ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ৮ লাখ ৮০ হাজার ৪২০ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯৮ জন এবং এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৬ হাজার ৩৮৫ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৫১ লাখ ১৮ হাজার ৬৮৯ এবং এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৩১২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৮৪০/-আরজি