বাসস দেশ-৩৬ : ভরাট কাজে টপসয়েল ব্যবহার করবেন না : মতিয়া চৌধুরী

120

বাসস দেশ-৩৬
মতিয়া-সেমিনার
ভরাট কাজে টপসয়েল ব্যবহার করবেন না : মতিয়া চৌধুরী
ঢাকা, ৩১ আগস্ট, ২০২০ (বাসস): বাধসহ সকল ভরাট কাজে টপ সয়েল ব্যবহার না করার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এই নদী ভাঙ্গনে নদীর পাড় মেরামত, বাধ তৈরিসহ বরাট কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি। এতে করে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ফসলের ফলন কমে যাচ্ছে, মাটির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। এমনকি ইটের ভাটার সব মাটি কৃষি জমি থেকে নেওয়া হচ্ছে। যেই মাটিটা কৃষি জমি থেকে নেয়া হচ্ছে, সেটা কিন্তু টপ সয়েল, যাকে আমরা উর্বর মাটি বলি। সেই মাটিটাই অন্য কাজে ব্যবহার করা হলে ফসল বাড়বে কিভাবে। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো এই টপ সয়েলটা ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে নদী খনন করে সেই রমাটি ব্যবহার করুন। আপনার টপ সয়েল ব্যবহার নিষেধ করে দিন।’
মতিয়া চৌধুরী আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু ও টেকসই বন্যা ব্যবস্থাপনায় শেখ হাসিনার দুরদর্শী পরিকল্পনা: প্রেক্ষিত-২০২০’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, কৃষি জমির জন্য পানি খুব জরুরী। কিন্তু এর পরিমানটা একটা নির্দিষ্ট পরিমানের হতে হয়, পানি বেশি হলেও সমস্যা আবার কম হলেও সমস্যা। পদ্মা, মেঘনা, সুরমা, যমুনা, গোমতি, শিতলক্ষাসহ অনেক নদী আছে যেসব নদীর নাব্যতা কমে গেছে। যার ফলে ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, আমাদের এখন অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, নদী নিয়ে নানা প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছে সরকার। নদী ভাঙ্গনের স্থায়ী সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার কাজ করছে, মোট ১৬০০ কিলোমিটারের এর অধিক বাধের মধ্য এক দুই কিলোমিটার ভাঙ্গনে পড়েছে। আশা করি সব প্রজেক্টের কাজ শেষ হলে বাধ ভাঙ্গবে না, স্থায়ী সমাধান হবে।
তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে আমরা কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছি, যেমন নদীর বাধ উচু করা, হাওর অঞ্চলে নীচু বাধ গুলোকে উচু করা। তাছাড়া দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। স্থায়ী সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের সকল চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ কমিটির সদস্য সচিব মো. আবদুস সবুর বলেন, কারিগরি তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে দেখা যায় এই বন্যা ১৯৯৮ সালের বন্যার চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়েছে। ভবিষৎতের আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। তার মধ্যে রয়েছে বন্যা ব্যবস্থাপনা উন্নিতিকরন। ভূমিব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রন। কাঠামোগত উন্নতিকরণ। বন্যা পূর্বাবাসের অধিকতর সঠিককতা আধুনিকায়ন করা।
তিনি বলেন, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, তিস্তাসহ ৫৭ টি নদী এর মধ্যে ৫৪টি নদী ভারত থেকে এসেছে। আর ৩টি নদী মায়ানমার থেকে এসেছে। এসব নদীর পানি এবং প্রবাহ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২১০০ শতকের যে ডেল্টা প্লান গ্রহণ করেছেন, স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘ মেয়াদি। আশা করি বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর ধারবাহিকতায় বর্তামান সরকার যে প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে তার মাধ্যমে সুষ্ঠ পানি ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে ৪১ সালে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ করা হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ কমিটির চেয়ারম্যান হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে বুয়েটের পুরাকৌশল বিভাগের সাবেক ডিন এম মনোয়ার হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, পানিউন্নয় বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। সেমিনারের মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মো. আরিফুজ্জামান ভূইয়া।
বাসস/সবি/বিকেডি/১৮৫০/-কেকে