বাসস দেশ-১৬ : বৃক্ষ রোপণ করে প্রকৃতির ভারসাম্যহীনতার নিরসন সম্ভব : ফজলে রাব্বী মিয়া

119

বাসস দেশ-১৬
ডেপুটি স্পিকার-বৃক্ষ রোপণ
বৃক্ষ রোপণ করে প্রকৃতির ভারসাম্যহীনতার নিরসন সম্ভব : ফজলে রাব্বী মিয়া
ঢাকা, ৩১ আগস্ট, ২০২০ (বাসস): ডেপুটি স্পিকার মো: ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রকৃতিতে যে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয়েছে বৃক্ষ রোপণ করে তা নিরসন করা সম্ভব।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে আজ বৃক্ষের চারা রোপণ করে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এছাড়া বজ্রপাত নিরসনে বৃক্ষরোপণ প্রয়োজন। তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বৃক্ষের সঠিক পরিচর্যা ও বেড়ে ওঠার জন্য মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, সরকার বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্প্রচার করে আসছে। তিনি এই সম্প্রচার কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে প্রচারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংসদ ভবন চত্বরে আজ একটি জয়তুন গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায়, বায়ু দূষণের হাত থেকে রক্ষার একমাত্র উপায় বৃক্ষরোপণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২০২০ সালে এক কোটি গাছ লাগানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, তাঁর নিয়ন্ত্রনাধীন একটি কৃষি ফার্মে ৫০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। সেখানে বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছ রয়েছে।
আজকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আরো অংশগ্রহণ করেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এবং সংসদ সদস্য তামান্না নুসরাত (বুবলী)।
এছাড়া, সংসদ সচিবালয় এবং পিডব্লিউডি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৩৫০ থেকে ৫শ’ টি বৃক্ষের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংসদ ভবন চত্বরে গত ২৬ জুলাই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
পর্যায়ক্রমে সকল সংসদ-সদস্য সংসদ ভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী- ২০২০ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বাসস/সবি/এমআর/১৬০৫/-শআ