বাসস দেশ-৭ : তিন সিটির প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই ভোটারের দীর্ঘ লাইন

133

বাসস দেশ-৭
সিটি-নির্বাচন-উৎসব
তিন সিটির প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই ভোটারের দীর্ঘ লাইন
ঢাকা, ৩০ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ভোটগ্রহণ চলছে।
প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই সকাল থেকে ভোটরের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উৎসব আমেজে আজ সকাল ৮টা থেকে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে বলে সংশ্লিষ্ট রিটানিং কর্মকর্তারা বাসসকে জানিয়েছেন।
নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহবান জানিয়ে তারা বলেন, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো ও উৎসবমুখর রয়েছে। ভোটারদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার সদস্য কাজ করছেন।
বেশ কিছু ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে বরিশালে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মজিবুর রহমান সারোয়ারের এমন অভিযোগ সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসার বলেন, ‘উনার অভিযোগটি সঠিক নয়। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। কোন কোন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে তা জানালে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বাসসকে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচনে কোন ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না বলে তিনি জানান।
ইতোমধ্যে তিন সিটিতেই আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য দলের মনোনীত প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ কেন্দ্র ভোট দিয়েছেন। ভোট দেয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় তারা নিজেদের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৬ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মো. শফিকুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মুরাদ মোর্শেদ (হাতী)।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদেক আবদুল্লাহ (নৌকা), বিএনপির মো. মজিবুর রহমান সরোয়ার (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ওবায়দুর রহমান মাহবুব (হাতপাখা), বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ (কাস্তে), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের মনীষা চক্রবর্তী (মই) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল)।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দীন আহম্মদ কামরান (নৌকা), বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান (হাতপাখা), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের-বাসদ মো. আবু জাফর (মই) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসান মাহবুব জোবায়ের (টেবিল ঘড়ি), মো. এহসানুল হক তাহের (হরিণ) ও মো. বদরুজ্জামান সেলিম (বাস)। তিন সিটিতে ৫৩০ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাজশাহী সিটিতে ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ১৩৮টি ভোট কেন্দ্র ও ১ হাজার ২৬টি ভোট কক্ষ রয়েছে। বরিশাল সিটিতে ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ১২৩টি ভোট কেন্দ্র ও ৭৫০টি ভোট কক্ষ রয়েছে এবং সিলেট সিটিতে ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ১৩৪টি ভোট কেন্দ্র ও ৯২৬টি ভোট কক্ষ রয়েছে।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএসএইচ/১১৪০/-কেজিএ