বাজিস-৩ : পিরোজপুরের কমিউনিটি ক্লিনিক এখন স্বাস্থ্য সেবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান

186

বাজিস-৩
পিরোজপুর-কমিউনিটি ক্লিনিক
পিরোজপুরের কমিউনিটি ক্লিনিক এখন স্বাস্থ্য সেবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান
পিরোজপুর, ৩০ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : জেলায় পল্লী অঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে পল্লী এলাকার মানুষের নিত্য নৈমিত্তিক রোগ চিকিৎসা সেবা গ্রহণের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব ক্লিনিকের কয়েকটিতে এখন গর্ভবতী মায়েদের স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করানো হচ্ছে সযতেœ। গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত জেলার ৭ উপজেলার ৫২টি ইউনিয়নের ১শ’ ৬৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৫শ’ ৮৩ জন রোগী চিকিৎসা ও ওষুধ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা হচ্ছে ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮ জন। একই সময় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪শত ৫৯ জন পুরুষ এবং ৬২ হাজার ২ শত ১৪ জন শিশু ও চিকিৎসা এবং ওষুধ নিয়েছে।
পিরোজপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত সময় ২৪ হাজার ৮শ’ ৯৯ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের জন্য পিরোজপুর, বরিশাল, খুলনা এবং ঢাকার সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জেলার ১৬৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে বর্তমান সরকার ইতিমধ্যেই ১৬৩টি ক্লিনিক চালু করেছে এবং ৩টির নির্মাণ কাজ চলছে। চালুকৃত কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে সদরে ১৭টি, নাজিরপুরে ২৮টি, নেছারাবাদে ২৯টি, কাউখালীতে ১৪টি, ভান্ডারিয়া ২৩টি, মঠবাড়িয়ায় ৪০টি এবং ইন্দুরকানীতে ১২টি রয়েছে।
পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. ফারুক আলম বাসসকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পল্লী এলাকার নারী-পুরুষ-শিশুর স্বাস্থ্য সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর এক যুগান্তকারী পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করে। ২০০১ পরবর্তী জামায়াত-বিএনপি সরকার এর নির্দেশে পিরোজপুরসহ সারাদেশের সকল কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করা হয়।
২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পর্যায় ক্রমে বন্ধ হওয়া ক্লিনিক চালুর পাশাপাশি নতুন ক্লিনিক ভবণ নির্মাণ করছে। জ্বর, আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক, কাশী, ডায়রিয়া, জন্মনিয়ন্ত্রনের ওষুধ, ডায়রিয়া, বদ হজমসহ ৩৩ ধরনের রোগের ওষুধ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া পিরোজপুরের কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে নিরাপদে সন্তান প্রসব করানো হচ্ছে। গত ৬ মাসে ১৫ জন গর্ভবতী স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করেছে।
জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েক জন নারী-পুরুষ এ প্রতিবেদককে জানান, বাড়ি থেকে অনতি দুরে এসব ক্লিনিক চালু হওয়ায় তাদের অর্থ ও কষ্ট দুটোই লাঘব হচ্ছে এবং তারা ভীষণভাবে উপকৃত হচ্ছে।
পিরোজপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. চান মিয়া মাঝি জানান, তার ইউনিয়নের ক্লিনিকে নিয়মিত যতœসহকারে আগত রোগিদের চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হয়। এসব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ দারুনভাবে উপকৃত হচ্ছে।
বাসস/সংবাদদাতা/আহো/১২১০/নূসী