বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : ছয় দফা ছিল বঙ্গবন্ধুর একান্ত চিন্তার ফসল : প্রধানমন্ত্রী

154

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
প্রধানমন্ত্রী-বঙ্গবন্ধু-ছয় দফা
ছয় দফা ছিল বঙ্গবন্ধুর একান্ত চিন্তার ফসল : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ছয়দফা দাবি ঘোষণা করেছিলেন যা বাঙালির সামনে তাদের স্বাধীনতার দাবি হিসাবে হাজির হয়েছিল এবং তারা এটিকে বেঁচে থাকার অধিকার হিসাবে গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি পৃথিবীতে একটি বিরল উদাহরণ যে জনগণ এইভাবে একটি দাবিকে (ছয় দফা দাবি) গ্রহণ করেছিল এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য রক্ত দিয়েছিল। এটি কেবল বাঙালির পক্ষেই সম্ভব।’ তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে ছয়দফা দাবি পর্যায়ক্রমে এক দফা দাবিতে পরিণত হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ১৯৬৮ সালের ১৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু এবং ৩৪ জন অন্যান্য বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকারের সাজানো ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ শীর্ষক মামলায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের পরে তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি অরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এই মামলার কিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন শুরু করে এবং এটিকে গণজাগরণে রূপান্তরিত করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইয়ুব খান ১৯৬৯ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি গণআন্দোলনের মুখে মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
শেখ হাসিনা বলেন, ছয়দফা দাবি ঘোষণার কারণে বঙ্গবন্ধু এবং অন্য শীর্ষস্থানীয় আ. লীগ নেতাদের গ্রেপ্তারের পর তার মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এই দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের পক্ষে জনমত গঠনে বিরাট ভূমিকা রাখেন। প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন, ‘আমার মা সবসময় জানতেন যে আমার বাবা কী চান এবং সে সম্পর্কে তিনি খুব সচেতন থাকতেন।’
তিনি বলেন, কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তার মা (ফজিলাতুন্নেছা) বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে যেসব নির্দেশনা পেতেন তা দলীয় নেতা-কর্মী ও ছাত্র সমাজের কাছে পৌঁছে দিতেন।
বঙ্গবন্ধু যখন উর্দুর পরিবর্তে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলন গড়ে তোলেন যা শেষ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের দিকে চালিত করে তখন তাঁর উপর্যুপরি গ্রেপ্তারের কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের অগ্রাত্রা বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলে, ‘আমাদেরকে জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি, যারা দেশের বিজয় নস্যাৎ করতে চেয়েছিল তারা আর এ সুযোগ পাবে না।
বাসস/এএইচজে/এসএইচ/অনু-এইচএন/১৮১৫/-এবিএইচ