বাসস দেশ-৩১ : শ্রম আইনের বেশ কিছু ধারা ও উপধারা সংশোধন হচ্ছে : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

310

বাসস দেশ-৩১
শ্রম আইন-সংশোধন
শ্রম আইনের বেশ কিছু ধারা ও উপধারা সংশোধন হচ্ছে : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা,২৯ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশ শ্রম আইনের বেশ কিছু ধারা ও উপধারা সংশোধন করা হচ্ছে।
জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে এ সংক্রান্ত একটি বিল পাশের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
আজ রোববার রাজধানির একটি হোটেলে সরকার, মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকদের সমন্বয়ে গঠিত ৬২ সদস্যের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৬০তম সভায় একথা জানানো হয়। শ্রমও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো.মুজিবুল হক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আজ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
সভাপতির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘দীর্ঘদিন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রম আইনের অনেকগুলো ধারা, উপ-ধারা সংশোধনের বিষয়ে তিন পক্ষ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একমতে আসতে সক্ষম হয়েছি’। তিনি বলেন, কয়েকটি ব্যাপারে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ একমত পোষণ করতে না পারায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের ওপর ছেড়ে দেয়। সরকার সব দিক বিবেচনায় নিয়ে শ্রম আইনের বেশ কিছু ধারা-উপধারা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুব শিগগিরই বাংলাদেশ শ্রম আইনের (সংশোধনী) একটি খসড়া মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
মুজিবুল হক বলেন, টিসিসিকে আরো শক্তিশালী এবং আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য এবার শ্রম আইনের অর্ন্তভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি নয়, মাতৃত্বকালীন সুবিধা হিসেবে শ্রম আইনে অন্তভুক্ত করা হবে,যাতে তারা মাতৃত্বকালীন সময়ের পর কাজে যোগদান এবং সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোন প্রকার বঞ্চনার শিকার না হয়। এছাড়াও শ্রম আইনে শ্রমিকের বিশেষ সংজ্ঞাও নির্দিষ্ট করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন। সভায় সরকার পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. শামসুজ্জামান ভূঁইয়া, অতিরিক্ত সচিব মো. আশরাফ শামীম, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, মালিক পক্ষের বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, বিজিএমইএ’র পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ,বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ, শ্রমিকদের পক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি শিরীন আখতার এমপি, জাতীয় শ্রমিক লীগের নির্বাহী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল ইসলাম, ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের মহাসচিব রায় রমেশ চন্দ্র এবং সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতনসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, মালিক পক্ষের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৯৩৫/-আসচৌ