ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামি ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

289

কক্সবাজার, ২৪ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতসহ ৭ পুলিশ সদস্যকে দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
রিমান্ডভূক্ত অন্য আসামিরা হলেন, পুলিশের ৪ সদস্য কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।
সিনহা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর এএসপি খায়রুল আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিনহা হত্যা মামলার বেশ অগ্রগতি হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আরো জিজ্ঞাবাদ প্রয়োজন।
তিনি জানান, প্রথম দফায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে নিয়মানুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ৩ আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে আদালতে হাজির করা হয় । এ সময় তাদেরসহ ৭ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও রিমান্ডের আবেদন করেন র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম। শুনানি শেষে ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্যের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হামিক (টেকনাফ-৩) তামান্না ফারাহ।
এরআগে গত ৬ আগস্ট তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত।
আদালতের নির্দশনা মতে ওসি প্রদীপসহ ৩জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৮ আগস্ট কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে র‌্যাব হেফাজতে নেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। কারাগার থেকে প্রথমে তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে তাদের র‌্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয় ।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মামলার মূল তিন আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহা পরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার।
এদিকে এ মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন কক্সবাজারে কর্মরত এপিবিএন-১৪ এর সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আবদুল্লাহর।
সূত্র জানায় এরআগে ১৪ আগস্ট রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আসামি পুলিশের ৪ সদস্য কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া এবং আটক সন্দেহজনক আাসামি টেকনাফের বাহারছরার মারশবনিয়া এলাকার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছকে। জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুতপূর্ণ¡ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র। এই মামলায় এই পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। এদিকে গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়। সবগুলো মামলা তদন্তের জন্য র‌্যাব-১৫ কে দায়িত্ব দেন আদালত।