২৯ জুলাই ডাক দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়া হবে: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

256

ঢাকা: ২৯ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের গৌরবোজ্জ্বল দিন হিসেবে ২৯ জুলাই জাতীয় ডাক দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
আজ রোববার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এবং ফিলাটেলিক এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ডাক টিকিট দিবস ২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ২০০৩ সাল থেকে ফিলাটেলিক এসোসিয়েশন ২৯ জুলাই ডাক টিকিট দিবস পালন করে আসছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই ভারতীয় নাগরিক বিমান মল্লিকের ডিজাইন করা ৮টি ডাকটিকিট মুজিব নগর সরকার, কলকাতায় বাংলাদেশ মিশন ও লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব সত্য প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে মুজিব নগর সরকার কূটনৈতিক প্রক্রিয়া হিসেবে স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরবের বিষয়। ১৯৭১ সালে মুজিব নগর সরকার ৮টি ডাকটিকিট প্রকাশ করে বিহির্বিশ্বে স্বাধীন বাংলার অস্তিত্ব প্রকাশ করেছে। ডিজাইনার বিমান মল্লিকের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী মুজিব নগর সরকারের প্রকাশিত ৮টি ডাক টিকিট ইতিহাসের অংশ হিসেবে আবারও প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার এ গুরুত্বপূর্ণ অংশটি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
মন্ত্রী ২৯ জুলাই ডাকটিকিট দিবস উদযাপন উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর প্রকাশিত পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেন। এ বিষয়ে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়েছে।
স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড রোববার থেকে ঢাকা জিপিও এর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। পরবর্তীতে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সকল ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকিট বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা আছে।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল এবং ফিলাটেলিক এসোসিয়েশনের পক্ষে আনোয়ার হোসেন মল্লিক বক্তব্য রাখেন।