বাসস দেশ-২১ : স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ইনডোরে পবিত্র আশুরার অনুষ্ঠান করা যাবে : ডিএমপি কমিশনার

127

বাসস দেশ-২১
ডিএমপি-আশুরা
স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ইনডোরে পবিত্র আশুরার অনুষ্ঠান করা যাবে : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা, ২৩ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ইনডোরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা যাবে। উন্মুক্তস্থানে কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আশুরা উপলক্ষে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আশুরা কেন্দ্রিক ট্রাফিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রুখতে ৩০ আগস্ট পবিত্র আশুরা উপলক্ষে খোলা স্থানে তাজিয়া মিছিল ও সমাবেশ না করার বিষয়ে সকলে একমত পোষন করেছেন।
ডিএমপি কমিশনার আজ রোববার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে পবিত্র আশুরা উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীতে নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় একথা বলেন।
আশুরা অনুষ্ঠান আয়োজকদের প্রতি আহবান জানিয়ে কমিশনার বলেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রুখতে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। অনুষ্ঠান স্থলে মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিবেন না। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে ইমামবাড়াগুলোতে সবাইকে একসাথে না ঢুকিয়ে খন্ড খন্ড দলে বিভক্ত করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেখানে অবস্থান করতে পরামর্শ দেন ডিএমপি কমিশনার।
পবিত্র আশুরার বেদনা বিধুর ঘটনা স্মরণ করে কমিশনার বলেন, ‘আমরা ধর্মীয়ভাবে উদার একটি সমাজ ও রাষ্ট্রে বসবাস করি। শান্তিপূর্ণভাবে আশুরা উদযাপন করার আহবান জানিয়ে কমিশনার বলেন, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে কোন বিরোধ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে তা মীমাংশা করতে হবে। আশুরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। যেকোন প্রয়োজনে আয়োজকদের পাশে থাকারও নিশ্চয়তা দেন ডিএমপি কমিশনার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি এবং লালবাগ, মিরপুর ও তেজগাঁও বিভাগের শিয়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আশুরা উপলক্ষে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আশুরা কেন্দ্রিক ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসোপজাল ইউনিট দিয়ে সুইপিং করানো হবে।
ইমামবাড়াসহ তার আশাপাশে সিসি ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।
মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করে আর্চওয়ের মধ্যদিয়ে সকলকে ইমামবাড়ায় প্রবেশ করত দেওয়া হবে।
এছাড়া আয়োজক কমিটি পরিচয়পত্রসহ পর্যাপ্ত সেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবেন।
ইমামবাড়া কেন্দ্রিক আয়োজক কমিটিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি ইমামবাড়ার প্রবেশ পথ ও প্রস্থানের পথ পৃথক করতে হবে। প্রবেশমুখে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেসিন, পানির ট্যাংক, সাবান এবং পৃথকভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা ও জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রবেশমুখে প্রয়োজনীয় সংখ্যক তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। কোনক্রমেই মাস্ক ছাড়া কাউকে ইমামবাড়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব কমপক্ষে ৩ ফুট কঠোরভাবে বজায় রাখতে হবে। করোনা সন্দেহজনক উপসর্গ যেমন- জ্বর, সর্দি-কাশি, শরীর ব্যাথা ইত্যাদি নিয়ে কোন ব্যক্তিকে ইমামবাড়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
করোনাকালীন বিশেষ পরিস্থিতিতে শিশু ও ষাটোর্ধ্ব এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ইমামবাড়ায় প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন কমিশনার।
বাসস/সবি/এফএইচ/১৯০২/এবিএইচ