বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : জিয়া’ই ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞের ‘আসল খলনায়ক’: প্রধানমন্ত্রী

124

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
প্রধানমন্ত্রী-১৫ আগস্ট-জিয়া
জিয়া’ই ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞের ‘আসল খলনায়ক’: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী এবং তাদের স্থানীয় দোসররা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির জয়কে মেনে নিতে পারেনি এবং তখন থেকেই তারা মূলত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু করে।
আবেগাক্রান্ত কণ্ঠে তিনি বলেন, অবশেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঠান্ডা মাথায় তারা বঙ্গবন্ধু, তাঁর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তাঁর তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল-শেখ কামাল ও শেখ জামালের স্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর নিকটাত্মীয়দের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করতে সফল হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, খুনিরা বাদে বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর জন্য অশ্রু বর্ষণ করেছে। ‘খুনিরা ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালিয়েছিল, কিন্তু তাদের সে চেষ্টা ব্যর্খ হয়েছ্ েতার নাম এখন বিশ্বে জ¦লজ¦ল করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পরে জিয়াউর রহমান একের পর এক অভ্যুত্থানে প্রায় ২০০০ মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও সৈন্যদের হত্যা করেছিলেন এবং এভাবে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি (জিয়া) পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর স্থানীয় দোসর শাহ আজিজ, আবদুল আলীম, মাওলানা মান্নানকে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও উপদেষ্টা করেছিলেন যারা দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা, লুটপাট এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মে জড়িত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া তার স্বামী জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিজামী, মুজাহিদ এবং অন্য যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী করেছেন যারা সরাসরি বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় জড়িত ছিল।
খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ এবং হুদাকে সংসদ সদস্য করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে রশিদকে সংসদের বিরোধী নেতা করা হয়েছিল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘যদি তাদের সাথে কোনো যোগসূত্র না থাকে তাহলে খালেদা জিয়া কেন ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে তাদের সংসদে বসার সুযোগ তৈরি করলেন?’ তিনি বলেন, তারা সব সময় (জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া) সন্ত্রাস ও হত্যার সাথে জড়িতদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।
বিএনপি সরকার এবং খালেদা জিয়া নিজেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা আহতদের উদ্ধারের চেষ্টা করেছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের লাঠিপেটা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘তারা (আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) দোষীদের পালানোর সুযোগ তৈরি করতে ঘটনাস্থল থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বহু প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করার লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা এ লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছিলেন, কিন্তু করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সেগুলো সীমিত আকারে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পালন করছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা এই শুভ উপলক্ষে শপথ নিয়েছেন, দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না এবং সবার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করবেন।
‘এ লক্ষ্যে আমরা বিশাল অগ্রগতি অর্জন করেছি, তবে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশের অগ্রগতি থেমে গেছে,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার দেশকে আবারও উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাসস/এএইচজে-এসএইচ/অনু-এইচএন/১৮০৫/আরজি