জয়পুরহাটে দারিদ্র্যকে জয় করছেন অসহায় নারীরা

345

জয়পুরহাট, ২৩ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর আওতায় কাজ করে দারিদ্র্যকে জয় করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন জেলায় অসহায় ও দুস্থ নারীরা।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, বর্তমান সরকার ধারাবাহিক ভাবে তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় অসহায় ও দুস্থ মহিলারা খুঁজে পেয়েছে তাদের ঠিকানা। দারিদ্র্যতাকে দূরে ঠেলে স্বপ্ন দেখে স্বাবলম্বী হওয়ার। সেই লক্ষ্যে গত ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান ও প্রশিণনসহ নানা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সফলতা পেয়েছেন পিছিয়ে পড়া নারীরা। ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় জেলার ৯৫ হাজার ৪০ জন দুস্থ নির্যাতিত, অসহায় দরিদ্র ও তালাকপ্রাপ্ত নারীদের ২ বছর চক্রাকারে ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হচ্ছে। মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচির আওতায় ৩৮ হাজার ৫৮০ জন দরিদ গর্ভবতী মা ও শিশুর পুষ্টি ঘাটতি নিবারনে ৩ বছর মেয়াদে মাসিক মাতৃত্বকাল ভাতার পরিমাণ ৫০০ টাকা স্থলে বর্তমান সরকার তা বৃদ্ধি করে ৮০০ টাকায় উন্নীত করেছে। কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচির আওতায় ২৯ হাজার উপকার ভোগী মাকে ৩ বছর মেয়াদে মাসিক ৫০০ টাকা প্রদান করা হলেও বর্তমান সরকার তা ৮০০ টাকায় উন্নীত করেছেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্র আরো জানায়, নিজেদের আয় বর্ধন মূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন ট্রেডে ১২ হাজার ৫৮০ জন মহিলাকে দক্ষতা উন্নয়ন মূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে বিউটি ফিকেশন কোর্স, আধুনিক দর্জি বিজ্ঞান ও এমব্রয়ডারী, কম্পিউটার সার্ভিসিং ও রিপেয়ারিং, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং, ব্লক বাটিক, মাশরুম চাষ, মোমবাতি তৈরি, কাগজের ঠোঙ্গা তৈরি ও টেইলারিং । প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদানসহ অসহায়দের মাঝে ৯৬টি সেলাই মেশিন ও ৯ শ ৮২ জন মহিলাকে ক্রমপুঞ্জিত ঋণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এক কোটি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এ ছাড়াও জেলার নিবন্ধিত ১৬০ টি স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠনের কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য বার্ষিক এককালীন অনুদান হিসাবে ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সাবিনা সুলতানা বাসস’কে বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় অসহায় নারীদের সহায়তা ছাড়াও যৌতুক, বাল্য বিবয়ে, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, নারী ও শিশু পাচার রোধ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। স্কুলগামী কিশোরীরা যাতে ইভ-টিজিংয়ের শিকার না হয় সে জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়মিত উঠার বৈঠক করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।